পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মদেবী श्लेष९ विउिनू काङ्ग वित्र ७5ाशन्न । দেখ দেয় মুক্তা-পাতি শোভার আকর। বাছরে বালিশ করি রাখিয়াছে শির । আহা মরি মুণালে কি রাতুল রুচির । কেহ বা সুমুপ্তি ভোগ করে উভরায়। নাসিকায় নিশ্বাস-প্রশাস ঘন ধায়। যথা দাব-দগ্ধ মৃগী মৃতকল্প হয়ে । ঘন ঘন নিশুসি বিহায় রয়ে রয়ে। কৰ্ম্মদেবী সকলের শিরে হাত দিয়ে। মধুস্বরে নাম ধরে দেন জাগাইয়ে । যেন ভানুকর-পরশনে পদ্মকুল । জাগিল সঙ্গিনীগণ হাস্য-সমাকুল। চলিল চন্দনা-সুীনে চঞ্চলচরণে। মরালীমণ্ডলী যথা যমুনা-জীবনে । লাফাইয়া পড়ি জলে দিতেছে সীতার। জল-কেলি-কলীযুত অপসরা আকার। কেহ সে তে অঙ্গ ঢালে পৃষ্ঠে রাখি ভর। হেমলতা ভাসে যেন জলের উপর । হায় রে জগত-লীলা বুঝে উঠা ভার। এক পারে হাস্য-লীলা কৌতুক অপার। অন্য পারে সমরের সাজ ভয়ঙ্কর । .ছাড়িয়ে বিশাল দীপ্তি মশাল-নিকর । দূরে থেকে দেখা যায় উড়িছে নিশান । সংগ্রাম-পূঙ্গব-শিরে ভীষণ বিষাণ। বাজিতেছে রণতরী ভেরী ঢাক ঢোল। মাঝে মাঝে হর হর শবেদ মহাগোল । কিন্তু রাজপূত-পুত্ৰীগণে কিবা ভয় ? यांब श्रीनि ८दलि-कला-द्वट्ज मधुं ब्रह्म । প্রভাতের প্রভাকরে প্রাচী হাস্যবতী। জল ত্যজি স্থলে উঠে যতেক যুবতী । সেই দিন সবে কৰ্ম্মদেবীরে সাজায় । যার যত নিপুণতা প্রকাশিছে তায় । চমরীর দপহর। চাচর কবরী। বিনাইয় দেয চন্দ্রচড়া সহচরী। তরুণী তরল। সখী পূর্ণিত পুলকে। ভাল ভূমিতেছে ভাল অগুরু-তিলকে। অঙ্গন নামেতে আলী লইয়ে অঞ্জন । সাজাইছে সুরঞ্জন নয়ন-খঞ্জন ৷ S)? মুক্তালত নামে সখী লয়ে মুক্তামাল । সমাদরে সাজাইছে ভূপতির বালা । কি ছাঁর সে মোতিহার, কিবা জ্যোতি তাঁর । সে অঙ্গ-সমীপে হলো মলিন আকার । বাহুযুগে দিল সর্থী বলয়, বিজট । করকাস্তি-কাছে তার হারি মানে ছটা । হীরকের কর্ণফুল শোভে কর্ণমূলে । পাইয়ে উত্তম স্থান বুঝি হেলে দুলে। কনক-কিঙ্কিণী পেয়ে কটিতটে স্থান । আনন্দে মাতিয়ে করে মধুস্বরে গান। আইলা সুচেলা সখী লইয়ে বসন । ঘাঘরা ওড়না চেলী কাচলী কষণ । ঘনা নীল চারু পট-বসন-ফলক । মাঝে মাঝে স্বণ-পটি দিতেছে ঝলক । কত বা কৌশল সব পিন্ধন-পিধীনে । যে চতুরা হয় তাহে, সেই ভাল জানে। অঙ্গের বলনী ছাদ লুকাতে পয়াস। অথচ সকল ভঙ্গী হইবে প্রকাশ । যথা কবিতায় রস-ভূষণ প্ৰদান । কখন না হয় যেন রস মূৰ্ত্তিমান । ঢাকিবে উপরে কিন্তু রাখিবে এরূপ । যাহে পুকটিত প্রতি রূপ প্রতিরূপ । হইল বিন্যাস-বেশ বিনোদ-বিশেষ । যেন লক্ষ্মী ধরাধামে করিলা পুবেশ। বসিলেন বরারোহ। পূজার আসনে । ধ্যানে ধরিলেন ধনী বাস্ত-বিনাশনে । মহীধবাস্তহারী তেজ যেই ধবন্তি হরে । প্রতিদিন চলাচল সুপ্রকাশ করে । যার শৈত্য-সুধায় কৃতাৰ্থ সুধাকর । যার শুীসে সমীরণ বহে নিরস্তর । যার তাপে হুতাশনো তপিন-সঞ্চায় । যার কৃপা-বারিগুণে তুষার সুধীর । সবৰ্বত্র সমান তিনি সৰ্ব্বত্র মঙ্গল । বিদ্যমান সৰ্ব্বস্থলে নিখিল নিস্ফল । হিন্দুধৰ্ম্ম মৰ্ম্ম এই সৰ্ব্বভূতে যিনি । যত্র তত্র কর পূজা জানিবেন তিনি। জল, স্থল, আকাশ, সমীর, বৈশুনির । দিনকর, নিশাকর, নক্ষত্র-নিকর ।