পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 তুমি না ধাৰ্ম্মিক ধীর বীর বাদশাহ। তুমি না জগদ্‌ গুরু বলি যশ চাহ । তুমি না অভেদ-জ্ঞানী সৰ্ব্বধৰ্ম্ম প্ৰতি। তুমি না সাধুর শ্ৰেষ্ঠ স্বরতি মুমতি । এই কি বীরত্ব তব যবন তনয় । এই কি তোমার ধৰ্ম্ম বে রে দুরাশয় । এই কি তোমার পুণাবত-পরিচয় । , এই কি তোমার কীৰ্ত্তি কলুষনিলয়। ধিক্ ধিক্ ধিক্ বে মোগল দুরাচার। মনে ভাব পরলোকে কিসে হবে পার।" কথা শুনি আকৃবর হইল অবাক । মানস চঞ্চল যেন কুলালের চাক । ভাবে “সুনিশ্চয় পতিবতা এই নারী । এত দিনে অবলার হাতে হৈল হারি । ভুবনের ভামিনী ভাবিীগণ যত । আমার প্রণয় যাচে কাঙ্গালিনী মত । এ নারী কেমন নানী নাবি চিনিবারে । নারিলাম কোহিনুর রত্বে কিনিবারে । যে হোকু সে হোক্ এরে ছাড়া কভু নয়। छ्टन दzल द*ौड़ड कना यूङि श्रञ्च । শুদ্ধ দেহে যদি যায কলঙ্ক রটিলে । রাজোড়-ম গুল সহ বিবাদ ঘটিবে। এত ভাবি যায় শাহ প্রসারিত কবে । ধরিতে দীপায়, পূর থর কলেবলে । হেরিয়ে হৰিণ-নেত্র। হরিদার। পায়। কণঠ ধরি দূপেতে ফেলিল বাদশায় । অবশ নরেন্দ্রনাথ সূরশরাঘাতে। ছিনুমূল ক্রম পায় পড়িল ধরাতে । অমনি রমণী হৃদে পদাঘাত করি । কহিতে লাগিল করে করবাল ধরি । “সরে রে গোলামপুত্র গোলাম দুর্জন । এত বড় সাধ্য তোর শূকরনন্দন ৷৷ কোথায় করেছ আশা পাপিষ্ঠ পামর । শৃগাল হইয়া চাহ সিংহস্থতা কর। জান না ভানুর বংশ ভানু অংশধর। শিশোদীয় পুরুষ প্রমদা পরিকর। রে দুৰ্ম্মতি আমরা মোগলস্থত নই। বানুরের বানরী স্বরূপ ৰাধি রই। রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী আমাদের অস্ত্র নহে সূচিক কৰ্ত্তরী। এই দেখ করে করবাল ভয়ঙ্করী । এই দেখ পরীক্ষা তাহার দুরাচার। এই রে তৈমুর বংশ করি রে সংহার ।” এত বলি উঠাইল করলে কৃপাণ । নিরখিয়া আকৃবর হৈল হতজ্ঞান । অকস্মাৎ পুষ্পবৃষ্টি সতীর উপরে। "ধন্য ধন্য বলি’ দৈববাণী ঘোর স্বরে । ভাবে শাহ ভীম মূৰ্ত্তি করি নিরীক্ষণ। নিমন্ত্রিয়া আনিলাম আপন মরণ ৷৷ দূর গত পূর্বভাব কহে সবিনয়ে। "শুন শক্তিমতী রতি শক্তির তনয়ে । জানিলাম তুমি সতি সত্য পতিব্ৰতা । ক্ষত্ৰকুল পবিত্রকারিণী কল্পলত । ধন্য বীরাঙ্গন তুমি বীরের নন্দিনী । বীরগণ অন্তরেতে আনন্দ স্যন্দিনী । করিয়াছি অপরাধ মাগি পরিহার । রোম পরিহর হর দুর্গতি আমার। করিলাম মাতৃরূপে তোমায় স্বীকার । স্বচছন্দে সুখেতে যাহ গৃহে আপনার । একমাত্র ভিক্ষা মম কর অঙ্গীকার । প্রকাশ না হয় যেন এই সমাচার।" শাস্ত হয়ে সতী কহে ‘‘তবে ক্ষমি আমি । যদি এক প্রতিজ্ঞা করহ ক্ষিতিস্বামী । সত্য কর কোরাণ শরীফ শিরে ধরি । লিখে দেহ নিজ পঞ্জ। দস্তখৎ করি । যদবধি তুমি কিংবা তব বংশধর । ভারতের সিংহাসনে থাকিব ঈশুর । ছলে বলে কি কৌশলে দিল্লী অধিকারী । না আনিবে নিজপুরে রাজপুতনারী।” “তথাস্তু’ বলিয়া শাহ করে অঙ্গীকার । লিখে দিল সেই কথা আজ্ঞা অনুসার। পুনরায় বহুতর করিল বিনতি । প্রসনু হৃদয়ে গৃহে ফিরে গেল সতী । হেথ পৃথ্বী প্রিয় হার পরাবত প্ৰায়। যামিনী যাপন করে ছট্‌ফট্‌ কায় । কন্তু আসি কাকতন্ত্রা নয়নে উদয়। সঙ্গে সঙ্গে ফেরে তার কুস্বপু তনয়।