পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 একেবারে ত্যজি পতি, বিদায় লবেন সতী, দেখা শুনা জনমের মত । এইমাত্র নিবেদন, রাখ যদি হে রাজন, হইবেন তব অনগত ।” শিবিরে গমন । পদ্মিনীর পত্র পড়ি দিল্লীর ঈশুর। মহাসুখ মানি মনে অস্থির অন্তর। ভাবে নাকি হেনা দিন হইবে আমাক । অতুলনা ললনার হব প্রেমীধার ? মম প্ৰেম-সরোবরে পদ্মিনী ভাসিবে। নয়ন-তপন কবে হাসা পকাশিবে।। জীবন সার্থক হয় হেরিলে যাহারে । রাজপীটে পাটবাণী ব:শিব তাহারে । দর্পণে হেরিয়ে যারে অস্থির হৃদয় । পত্যক্ষ করিব তীরে এ কি ভাগ্যোদয় । ভীমসিংহে বাড়াইব ভারত-ভিতর । প্রধান হইবে সে সবার উপর।” .এত ভাবি চলে শাহ হেরিতে রাজারে । যথা ভীম বন্দিপ্রায় বদ্ধ কারগানে।। শাহ বলে, “ওহে রায় বৃথা ভাব সাব । ক্ষমা কর পরিহরি মনোদুঃখভার । যে পদ্মিনী হেতু আমি ত্যজি দিল্লীপুর। আপনি সংগ্রামে রত আসি এত দূর । যে পদ্মিনী হেতু কত শত জীব হত। যে পদ্মিনী হেতু তুমি দুঃখ পাও কত। যে পদ্মিনী রূপে গুণে ধন্য মহীতলে। যে পদ্মিনী পতিব্ৰতা সতী সবে বলে। সেই সে পদিনী দেখ লিখেছে আমায়। ভজিবে আমায় রায়, ত্যজিবে তোমায়। অতএব কেন সহ যাতনা কঠোর ? যার জন্যে চুরি কর সেই বলে চোর। অবলা তরল তৃণ তরঙ্গের প্রায়। যে দিকে বাতাস বহে সেই দিকে ধায় । এই দেখ পদ্মিনীর স্বাক্ষর সুন্দর। এই দেখ পত্র পৃষ্ঠে রঞ্জিত মোহর ॥" वेत्रणोण-अंधॊबलौ প্রথমতঃ হেঁট মুখে ছিলেন ভূপতি । উপহাস ভাবি মুখে না ছিল ভারতী । কিন্তু শেষ শুনি শবদ স্বাক্ষর মোহর । পত্র প্রতি কটাক্ষ করেন নৃপবর । দেখামাত্র স্বাক্ষর হলেন জ্ঞানহত । নয়নে বিধিল যেন শূল শত শত।। ধরাপতি ধরাশায়ী ছটফট পাণ । হাস্যমুখে বাদশাহ করিল পৃস্থান। যথা মায়া-জায়া হত্যা দেখি রঘুবর। মায়ামুগ্ধ হয়ে পড়িলেন ধরাপর।। নিরখিয়া নিশাচরে আনন্দ অপাল । আনন্দে মঙ্গল বাদ্য করে বীর বার । সেইরূপ আল্লার্দীন আহ্বাদে অস্থির। ললিতাঙ্গী লাভ ভাবে লোমাঞ্চ শরীর । নিজ হস্তে পদ্মিনী লিখে পত্রোত্তর । “বরণী-ঈশুবী পদে প্ৰণাম বিস্তর। দয়া দানে দাস পতি দিয়াছ যে আশা । তাহে মাত্র মম প্রাণ বিহঙ্গের বাসা । আমি তব হাজ্ঞাধীন জানা হে নিশচয় । কি সাধ্য করিব তব আজ্ঞা বিপর্য্যয় । এ দীন সেবক তব তুমি হে ঈশুরী। তব মান বাড়াইব কি সাধ্য সুন্দরি ?’ , এইরূপে পত্র লিখি পাঠাইল শাহ । পাঠ করি পদ্মিনীর বাড়িল উৎসাহ । পাণনাথে উদ্ধারিব বিপক্ষের হাতে । আর না বিচেছদ হবে এবার সাক্ষাতে । এত ভাবি পুনর্বার বার দিয়ে রাণী। ডাক দিয়ে আনিলেন প্রধান সেনানী। গোপনেতে পরামর্শ করিলেন স্থির । দাসী-রূপে সাজিবেক যত সব বীর । শিবিকারোহণে যাবে প্রচছনু হইয়া । পদাতিকগণ যাবে শিবিকা লইয়া । প্রতি যানে অস্ত্ৰ শস্ত্র থাকিবে প্রচুর । সময়েতে শূরত্ব দেখাবে যত শূর। ভীমসিংহের পরিত্রাণ । হের্থ ভীমসিংহ রায় দেখিয়া স্বাক্ষর । কিছুকাল মুচিছত ছিলেন মহীপর।