পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ- রজতগিরি-নন্দিনী । মুক্ত পরবো,—সকল মেয়েরি সাধ । দেখ, আমি ছেলে বেলা রাড় হয়েচি,—কোন সুখই জানিনে, তবু গলীয় এক ছড়া সোণার দানা পরেছি, ও ইচ্ছে হচেচ যদি আরো এক নর বাড়ে, কি আর একটু মোট দানা হয়, তো আরো ভাল হয়। দিনের মধ্যে দশ বার সেই দণনাকে মাজি ঘবি, ও পথে য’বার সময় কাপড় খান এটটু নোল করে পরি,যে সেখান্ড ঢাকা না পড়ে,—অথাত্ কি না দান। ছড়াটা বেশ দেখ। যায় । তার তসরের কাপড় গায়ে থাকে না, ত’তেও এটটু সুবিধে বোল্তে হবে । কিন্তু যা’র দশখানা অঙ্গে আছে, সেই সোণ মেয়ে ভাগ্যিবতি, ঘরের লক্ষনী । আর যার কিছু নাই, সে মাগী অলক্ষী ও ঘরের বালাই । অণর মেয়ে জেভেরে। বলি,—সোণ পোরে অাশ মেটে না । যদি সুমেৰু পৰ্ব্বতের চুড়ো ভেঙ্গে এনে মেয়ে মানুষের খোপায় বেঁধে দাও, তবু ঘাড় ভাঙলেও বোলবে না যে লাগচে, কারণ সে যে সোণা,— চিক্‌ চিক করে । কাপড় যত দামী হোক, যদি সৰু না হয় ভবেই সৰ্ব্বনাশ,-অম্নি মুখ বেঁকলো । কাপড় অঙ্গে অাছে কি নেই, এমন না হ’লে সে কাপড় ই নয় । হোক তা যখনকার যেমন, এ বলে কি পোরবে না ? মেয়ের কোন্‌ খাম্‌ড বা বলবো । হাঃ কৃষ্ণ ! আহা !—তোরা মুখে থাক । কাঞ্চনি, অামি চললেম । সুধ মাসি, আমি তোকে শিকার করে এনে দেবে, খাবি ? বামা। দূর হতভাগ ! আমি একে বিধবা, তায় বৈষ্ণবী । আমি কি মাচ মাংস খাই রে ? ( মৃদুস্বরে )