পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । ( ○ মন্ত্রী । রাজকুমারি । আপনকার দুরদৃষ্ট ভিন্ন আমরা অণপন কণর অণর কোন অপরাধ দেখিনা । ক্ষণপ্র । তবে তাই হবে । মন্ত্রি, অামি অতঃপর শোকসাগরে পতিত হলেম । অভাগিনীকে পরিত্যাগ করে স্বামী সংগ্রামে গেলেন, অতএব স্বামীপরিত্যক্ত এ অভtগিনী নারী এখন কার শরণ লবে ! হে জীবিতেশ্বর ! বুঝি আর তোমাকে চক্ষে দেখতে পাবেন! ! ( ভূতলে পড়িয়া ८झांनन । ) মন্ত্রী । রাজকুমারি । আর রোদন করে। না । সকলি তোমার কপালের দোষ ! তুমি রাজ্যেশ্বরী রাজমহিষী হয়ে যে শেষে পথের কাঙ্গালিনী হবে ইহা স্বপ্নের অগোচর ! কি বিধির বিড়ম্বন ! [চেড়িগণ ধরাধরি করিয়া যুবরাণীকে উত্তোলন । ক্ষণপ্র । (রোদন পূৰ্ব্বক) আমি কি কুক্ষণে পৃথিবীতে পা দিয়েছিলেম গো, যে আমার কপালে এত দুঃখ ঘটলে। ! আমার পিতা দেবরাজবিশেষ, স্বামী দ্বিতীয় মেঘনাদ, তত্ৰাচ আমি পথের কাঙ্গালিনী হলেম । আর এই যে অামার দুগ্ধপোষ্য শিশু, সেই বা অামার বিচ্ছেদে কেমন করে বাচবে । হা বিধি ! তোমার মনে এই ছিল । ( শিশুকে লক্ষ্য করিয়া রোদন । ) অীয় শিশু কোলে করি, বারেক হৃদয়ে ধরি, দুখিনীর ধন, জননী জীবন, কারে দিব আহা মরি !