পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঞ্জতগিরি-ননিদনী । (; " অরণ্যে রোদন কতে হলো । কিন্তু সীতাদেবী বনেতেও আশ্রয় পেয়েছিলেন, অামার কপালে তাও নাই । হা নিষ্ঠুর বিধি ! ( চতুর্দিকে নিরীক্ষণ ) মা—কি ঘোর বন ! এখানে চন্দ্রস্থৰ্য্যের প্রকাশ নাই । দিন রণত চেনা ভার । হে বিধি তোমার মনে এই ছিল ! ( অশ্রুপাত পূর্বক ) হিংস্ৰক বনজন্তু পুঞ্জ পুঞ্জ ; বাঘ, ভালুক, মৃগ, মহিষ, শূকর, গণ্ডারাদি পালে পালে বেড়াচ্চে, কিন্তু কেউ অণমার কাছে আস্চে না । কি আশ্চর্য্য ! অভাগিনী বলে যম ও কি আমার প্রতি বিরক্ত হয়েচেন । যা হোক, এই তো নিকটে গভীর হুদ আছে । যদি এতে গা ঢালি, তবে অামাকে এ বনে কে নিবারণ কক্তে পারে ? এখন আমার সেই ভাল ; স্বামী গেল, পুত্ৰ গেল, আবার বনবাস হলো ; তবে পৃথিবীতে আমার আর কি আছে যে তার জন্যে অরণ্যে বাস করবো । ( ক্রমশঃ হ্রদের নিকটবর্তী হইয়। ) এই যে দেখচি কমলদ্ভদ সম্মুখে । একেই তো পঙ্কজসরোবর বলে । ( তটে উপবেশন । ) আহা ! সেই কমলহ্রদ, সেই অামি, সেই বন । কিন্তু এখন সে শোভা নাই, সে সৌন্দর্য্য নাই, সে সুখ নাই। এত নিবিড় বন, তবু যেন চারিদিক শূন্য দেখচি ! বোধ হয়, আমারি চোকের দোষ হবে ; কেননা পতিবিচ্ছেদে আমার সে নয়ন নাই, সে মন নাই, সে প্রাণ নাই। এই কমলসরোবর-তটেই আমার সৰ্ব্বনাশ হয়েচে । হে সরোবর ! তোমার হৃদয়ে কমল, ও অন্তর শীতল, তবে অামার ভাগ্যে কেন গরল হলো । তোমাতে অবগাহন করে আমি কেন তাপিত হলেম । তোমার জ