পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী نگ به করি । কমলসরোবরে স্বানকালে ব্যাপের পাশে বদ্ধ হয়ে ভগ্নিদের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয় । তার পর পুরস্কারের লোভে বা অন্য কারণে হউক উক্ত কিরাত আমণকে পিঙ্গলরাজ্যের রাজকুমারকে উপঢৌকন দেয় । কুমার অামার রূপলাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে আমার পাণিগ্রহণের ইচ্ছা করেন । রাজকুমার অশ্রুত পূৰ্ব্ব রূপবান, ও মর্ত্যলোকে অশ্বিনীকুমার বিশেষ । বহু বিনয়ে অামার মন পেয়ে শেয আমাকে বিপহ করেন ও পরিণয়ের স্বল্প দিন পরেই আমি অন্তরাপত্য হই । পরে বিপক্ষ-সৈন্য রাজার রাজ্য আক্রমণ করতে পতি সেনাপতি হয়ে যুদ্ধে গমন করেন । এই অবসরে অতিলুব্ধ ও পিশুন দৈবজ্ঞ দ্বিজ একজন রাজাকে অসৎ পরামর্শ দিয়ে আমাকে বনবাস দেওয়ায় ; কিন্তু ঐ দ্বিজাধম আমার স্বামীর বিপক্ষ প্রকাশ হওয়াতেও রাজা সে কথায় কর্ণপাত না করে আমাকে অরণ্যে পাঠান । আমি অনাথিনী ও দুঃখিনীর ন্যায় বনে বনে ভ্রমণ করে শেষ আত্মহত্যা কত্তে উদ্যত হলে আকাশবাণীতে নিষেধ করে, ও পি ত্ৰালয়ে গমন কত্তে প্রত্যাদেশ হওয়ায়, ঐ অরণ্যবাসী কোন তাপসের পরামশে শূন্যপথে অসিতেছি, নগরের লোক প্রথমে আমাকে দেখে আনন্দে বিহবল ; তার পর সকলে একত্র হয়ে কোলাহল ও কুতূহল কত্তে লাগলো । কিন্তু স্বামী ও শিশু পুত্রের বিচ্ছেদে আমি অতিশয় কাতর অ।ছি । তবে আপনকার শ্রীচরণ দর্শন করে, ও ভগ্নিগণকে দেখে সম্প্রতি সে দুঃখের কিঞ্চিৎ শমতা হলো । রাজা । তনয়ে ! তোমার বনবাস আমাদের পক্ষে