পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । ՆԳ আছে ? কিন্তু দেখছি যে পুরনারীরা সকলেই বিমৰ্ষ, এবং তোমরাও অপ্রসন্নবদন ও মুক্তকেশ, ও কেবল বিশেষ অমঙ্গলের চিহ্নই যেন বোধ হচে । মাল। (সাশ্রনয়ন গদগদম্বরে ) সমাচার আর কি বলবো, —আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে ! আমরা কেবল প্রাণহীন দেহ লয়ে আছি !—যুবরাণীর বনবাস হয়েছে । ( রোদন ) যুব । যুবরাণীর বনবাস ! সে কি ? কি জন্যে ? এ কথা সত্য হলেও যে বিশ্বাস হচ্চে না, কথা কি ? মাল । আপনি যুদ্ধে গমন কল্পে তার অল্প দিন পরেই গ্রামের দৈবজ্ঞ ঠাকুররে মহারাজকে কুমন্ত্রণা দিয়ে যুবরাণীকে বনবাস দিইয়েচে । এ জন্যে রাজা প্রজা সকল লোকেই শোকাকুল । কথা এই যে, মহারাজ রাত্রে দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন, তাতে অত্যন্ত ভয় পেয়ে দৈবজ্ঞ বামণদের জিজ্ঞেস করায়, তারা মহারাজকে জানায় যে পরিরাজকুমারী রাক্ষসী, ও তার নিশ্বাসে সকল অমঙ্গল হচ্চে ও আরো হবে, অতএব তাকে শীগ্যির বনবাস দেন । মহারাজভাল মন্দ কিছুই বিবেচনা না করে, সেই কথায় বউরাণীকে বর্জন কল্লেন । নবকুমার অন্তঃপুরে কুশলে আছে, কিন্তু মাতৃহীন শিশু দিন দিন ক্ষীণ হচ্চে, এর পরে তার কপালে কি আছে তা ঈশ্বর জানেন ! যখন বউরাণী বনবাসে যান, তখন বাছাকে মাই দিতে দিতে বল্লেন যে মালতি তবে র্তাকে বলিস্ যে আমি এ জন্মের মত বিদায় হলেম । আর কুমারকে কোলে কোরে যে কত কাদ্বলেন তা আর কত বলবো ; আর কাদৃতে কাদ্বতে স্তনদুগ্ধ গেলে আমাকে বল্লেন