পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆԵ রজতগিরি-নন্দিনী । যে বাটিতে ধর, যখন ছেলের ক্ষুধা হবে এউ এউ খেতে দিস । আহা ! দুধ-তে। নয় যেন মুক্তো গেলে ঢাল্‌চে । তার পর, ওঠবার সময়— যুব । মালতী, আর না, যা বল্লি সেই বিস্তর ; আমার কঠিন প্রাণ তাই এখনও রয়েচে । এখন তোমরা পূরমধ্যে যাও, আমি যুবরাণীর অন্বেষণে চল্লেম । যদি তার দেখা পাই তবেই মঙ্গল, নচেৎ এই পর্য্যন্ত । মাল । তবে বুঝলেম যে বিধি অামাদের প্রতি নিতাস্তুই বাম হয়েচেন । [ রোদন করিতে করিতে মালতীর প্রস্থান । যুবরাজ । মন্ত্রি, দেখ, আমি ঐকান্তিক রাজভক্তির ও সংগ্রাম-বিজয়ের এই পুরস্কার পেলেম । শত্রুসৈন্য মহারাজের দেশ ছার খার কত্তে আরম্ভ কললে, আমি সসত্ব। মহিষীকে পরিত্যাগ করে মহারাজের সেনাপতিত্ব স্বীকার কল্‌লেম । কিন্তু মহারাজ আমার মুখাপেক্ষা না করে, লুব্ধ ও ধূৰ্ত্ত এক জন গণকের কথায় নির্ভর করে নিরপরাধে পুত্রবধূকে বনবাস দিলেন । একথা চিরকাল হৃদে যাবে । যা-হ’ব আমি মহিষীর অন্বেষণে চল্লেম ; যদি কদাচ ভার উদ্ধার কতে পারি, তবেই স্বরাজ্যে আসবে, নচেৎ এই যাত্রা । মহিষীর অন্বেষণে হয় শরীরের পতন হইবে, নচেৎ মন্ত্রের সাধন করিয়া গৃহে আসিব ; আর ইত্যবসরে মহারাজ আশ্রমে গমন করেন, তবে তুমি আমার শিশু-পুত্রের সাবধানে রক্ষণাবেক্ষণ করিবে । যেহেতু সেই শিশু ভিন্ন মহারাজের সিংহাসনের অার