পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । পরিত্রা । বৎস! তবে তোমার মঙ্গল হউক ! তোমার মহিষীদত্ত এই হীরকাঙ্গুরীয় গ্রহণ কর । রজতগিরিরাজবালী যাত্রণকালে এই অঞ্জুরী আমাকে দিয়া কহিলেন, যে যদি কদাচিৎ অণমার সহিত তোমার এই বনে সাক্ষাৎ হয়, তবে অস্কুরী তোমাকে অর্পণ করিব । বিপত্তিকালে অন্ধুরী তোমাকে পথে রক্ষা করিবে—রাজবালা ইহা পুনঃ পুনঃ আমাকে কহিলেন । ( অঙ্গুরী অর্পণ । ) যুবু। এই অঙ্গুরীই আমার মহিষীর প্রণয়ের পরীক্ষা জ্ঞান হইল । হে গুরো ! আমি উপক্কত হইলাম । পরিত্রা । তোমার বিঘ্ন বিনাশের নিমিত্ত অামি অণর এক দ্রব্য দিতেfছ—সাবধানে নিকটে রাখিবে । এই গন্ধৰ্ব্বধূপ ধর । ( প্রদান ) এই দ্রব্যগুণে পশু, পক্ষী, নাগ, নর, নিশাচরাদি,—কেহই তোমার অনিষ্ট করিতে পরিবে না । আর কিঞ্চিৎ পথের বৃত্তান্ত কহিব, মনযোগ কর —কিয়দর গমন করিলে নিবিড় বেত্র-বন পাইবে ; ঐ বনে ভীষণা নামে নিশাচরী বাস করে । দৃষ্টিমাত্র রাক্ষসী তোমার পথ অবরোধ করিবে, কিন্তু ঔষধের গুণে সংক্ষিপ্ত সমরে তুমি তাহাকে পরাভব করিতে পারিবে । তদনন্তর উষ্ণ নদী পাইবে ; তাহার জলে কেবল অনল জ্বলিতেছে ও এক যোজনের মধ্যে বৃক্ষলতা মাত্র নাই, তটে অতিশয় ভয়ানক অজগর সপ বাস করে,—দৃষ্টিমাত্র তোমাকে গ্রাস করিতে আসিলে, তাহার শিরে পদাঘাত করিবে, ও আহি তৎক্ষণাৎ উক্ত নদীর সেতু স্বরূপ হইবেক । পরে তুমি অকুতোভয়ে তাহার উপর দিয়া পার হইয়া যাইবে । গন্ধৰ্ব্ব-ধূপে তোমাকে রক্ষা করিবে ।