পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । ** দমন ক্ষণ প্রভাকে ছেড়ে দিয়ে যদি তোদের দুজনকে কমলসাগরে আটকে রাখতো, তবে আমার মনের মত হুতো ! তোমরা দুটি লক্ষী সরস্বতী ; মা ! অঁাচল পেড়ে গড় করি । প্রমী । সে যাহক, তুই এখন গণে দেখ যে ক্ষণপ্রভার পতিবিচ্ছেদ-যাতনা কত দিনে যুচবে । দম । না --অ।মি এখন গণতে পারবো না । এখন গণে দিয়ে সত্ দেশ এক করি । আমি যাই । প্রমী । না না, উঠিসনে উঠিস্নে ! (ধরাধরি করিয়া বসান ) ভূইতো বড় নিষ্ঠুর লো! মেয়েমানুষের এমন কঠিন প্রাণ এতো শোনা যায়না । তোর কি !—তুইতো সে দুঃখু জানিস্নে ; যার যাতনা সেই জানে । ক্ষণ প্রভার মনের মধ্যে যে কি হচচে, তাকি তুই জানতে পারিস। কেবল তোর মুখের টান । দম । না—তাকি আর আমি জানি, তোমরাই জান । তোরা আমাকে জ্বলাস্নে —চুপ কর বলচি । আমি চল্‌লেম । প্রমী । অামার মাথা খাস্—বোস্—আমার দিব্বি । একবার গণে দেখ তুই আজ এমন কচুচিস্থ কেন ?–যেন কিসে পেয়েচে । দম | অণর কিসে পাবে তোরাই পেয়েচিস । কি বিপদ । বোস বাপু বোস ! দেখি দেখি (ভূমে খড়ি পাতিয়া বহু চিন্তাপূৰ্ব্বক) তবে বলি শোন! এখন কাকুই বলিস্নে – ক্ষণপ্রভার ক্লেশের শেষ হয়েচে ।