পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>8 রজনী । নাই—তবে আশায় কাজ কি ? যে দেশে অগ্নি নাই, সে দেশে हेकन चारह१ कबिज्ञा कि श्रेश्व ? প্রতিজ্ঞা করিয়াছি, সব বিসর্জন দিব। আমি পরদিন শচীন্দ্রকে দেখিতে গেলাম। দেখিলাম শচীন্দ্র অধিকতর স্থির—অপেক্ষাকৃত প্রফুল্ল। টাহীর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথোপকথন করিতে লাগিলাম। বুঝিলাম আমার উপর যে বিরক্তি, শচীন্ত্রের মন হইতে তাহা যার নাই। পরদিন পুনরপি তাহাকে দেখিতে গেলাম। প্রত্যহই র্তাস্থাকে দেখিতে যাইতে লাগিলাম। শচীন্দ্রের দুৰ্ব্বলতা ও কিঃভাধ কমিল না, কিন্তু ক্রমে স্থৈৰ্য্য জন্মিতে লাগিল। প্ৰলাপ সুর হইল। ক্রমে শচীন্দ্র প্রকৃতিস্থ হইলেন। রজনীর কথা একদিনও শচীন্দ্রের মুখে শুনি নাই। কিন্তু ইহ দেখিরছি, মে যেদিন হইতে রজনী আসিয়াছিল, সেইদিন হইতে তাহার পীড়া উপশমিত হইয়া আসিতেছিল। একদিন, মখন আর কেহ শচীস্ত্রের কাছে ছিল না, তখন আমি ধীরে ধীরে বিনা আড়ম্বরে রজনীর কথা পাড়িলাম। ক্রমে তাহার অন্ধতার কথা পাড়িলাম, অন্ধের দুঃখের কথা বলিতে লাগিলাম, এই জগৎসংসারশোভা দর্শনে সে যে বঞ্চিত, –প্রিয়জনদর্শনস্বশ্বে সে যে আজন্মমৃত্যুপৰ্য্যন্ত বঞ্চিত, હરે সকল কণা উহার সাক্ষাতে বলিতে লাগিলাম। দেখিলাম শচীন্দ্র মুখ ফিরাইলেন, তাহার চক্ষু জলপূর্ণ হইল । অনুরাগ বটে। ওখন বললাম “আপনি রজনীর মঙ্গলাকাঙ্কী। আমি সেইজন্যই একটি কথার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতে চাই। রজনী