भल्लौठ वङ । శిషి আমি । শিক্ষার্থ। স। যাহার শিক্ষিত, তাহার কাটে কেন? জামি । তত্ত্বাস্থসন্ধান জন্য। - স। আমরাও তত্ত্বানুসন্ধান জন্য এ সকল করিয়া থাকি । শুনিয়াছি, বিলাতি পণ্ডিতেয় মধ্যে অনেকে যলেন, লোকের মাথার গঠন দেখিয়া তাহার চরিত্রেয় কথা বলা যায়। যদি মাথার গঠনে চরিত্র বলা যায়, তবে হাতের রেখা দেখিয়াই ঝ কেন না বলা যাইবে । ইহা মানি, যে হাতের রেখা দেখিয়া, কেহ এ পর্যন্ত ঠিক বলিতে পারে নাই। ইহায় কায়ণ এই হইতে পায়ে, যে ইহার প্রকৃত সঙ্কেত অদ্যাপি পাওয়া যায় নাই, কিন্তু ক্রমে ক্রমে হাত দেখিতে দেখিতে প্রকৃত সুঙ্কেত পাওয়া যাইতে পারে। এ জন্য হাত পাইলেই দেখি । অামি । আর নলচালা ? স। তোমরা. লৌহের তায়ে পৃথিবীময় লিপি চালাইতে পার, আমরা কি নলটি চালাইতে পারি না ? তোমাদের একটি ভ্রম আছে,তোমরা মনে কর, যে,যাহা ইংরেজের জানে তাহাই সত্য, যাহা ইংরেজে জানে না, তাহা অসত্য, তাহা মনুযাজ্ঞানের অতীত, তাহা অসাধ্য। বস্তুতঃ তাহা নহে। জ্ঞান অনন্ত । কিছু তুমি জান, কিছু আমি জানি, কিছু অন্যে জানে, কিন্তু কেহই বলিতে পারে না যে আমি সয জানি, আর কেহ আমার জ্ঞানেয় অতিরিক্ত কিছু জানে না । কিছু ইংরেজে জানে, কিছু আমাদের পূর্বপুরুযের জানিতেন। ইংরেজের যাহা জানে ঋষিরা তাহ জানিতেন না ; ঋষিরা যাহা জানিতেন, ইংরেজের এ পর্যন্ত তাহ জানিতে পারেন নাই। সেই সকল আৰ্য্যবিদ্যা প্রায় লুপ্ত হইয়াছে, আমরা কেহ কেহ ছুই একটি বিদ্যা ਵੇ । ৰত্নে গোপন রাখ-কাছাকেও শিখাই না।
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৪
অবয়ব