বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রঞ্জাবতী - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिठीश कश् AS ক'বুলুম, তাই এখন আমরা বুঝতে পারছিনা। সে ব্যক্তি যদি নয়ন সেন হ’ত, তাহলে কি এই দুঃসময়ে পরম হিতৈষী মহারাজকে সে পরিত্যাগ ক’রে যেতে পারত ? অথচ সমস্ত বিপদ সেই নরাধম কাপুরুষের জন্য । তারই জন্য শান্ত প্ৰজা বিদ্রোহী হ’ল। ভাই শক্ৰ হ’ল । সেই প্ৰবঞ্চকের জন্যই বাঙ্গালার সম্রাটপুত্র-নব লক্ষ সৈন্যের অধিপতি অপমানিত লাঞ্ছিত হয়ে, রুদ্রমূর্তিতে বিষ্ণুপুর রসাতলে দিতে আসছে। যাক—অদৃষ্ট যা ছিল তাই হল। তুমি কিন্তু সাবধানে থেকে একাকিনী এখানে সেখানে ঘুরোনা-কেননা এখন আমার নিজের ঘর পর্য্যন্ত নিরাপদ স্থান নয়। কার মনে কি আছে কিছুই বলতে পারি না। এই যে মহারাজ ! আপনি আবার এখানে এলেন কেন ? ( বীরমিল্লের প্রবেশ ) বীর।-রঞ্জাবতী, একটা কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করব ? রঞ্জা - অজ্ঞে করুন | বীর । -- জিজ্ঞাসা করছি – কিন্তু বুঝে উত্তর দিও। আমার কথায় মনে একটুকু ও দুঃখ করেন। পুঞ্জা।—আপনি আমার পিতৃতুল্য হিতার্থী। বীর।—তবে শোন। তোমার স্বামী তোমাকে শক্রিহস্তে নিক্ষেপ ক'রে কাপুরুষের ন্যায় এস্থান ত্যাগ করে গেছেন । রঞ্জা - আপনারা কি তঁর পুনরাগমনের প্রত্যাশা করেন না ? বীর।।-প্রত্যাশা করতে পাf |, কিন্তু জীবদ্দশায় নয়। যখন সে ফিরবে, তখন বিষ্ণুপুর অরণ্যে পরিণত হবে। এতক্ষণ