চতুর্থ অঙ্ক । দৃশ্য —অন্তঃপুর । রত্নমালা-হস্তে সাংশ্রতলোচনে স্ব সঙ্গতার প্রবেশ । ং —(করুণভাবে নিঃশ্বাস ফেলিয়া ) হা প্রিয়সখি সাগরিক ? তুমি এমন লজ্জাবতী, সখীজনবৎসল, উদার-চরিত্র, সৌম্যদর্শন, তুমি কোথায় গেলে ?—আমার কথার উত্তর দেও। ( রোদন ) (উৰ্দ্ধদিকে অবলোকন ও নিঃশ্বাস ফেলিয়া) আরে পোড়া বিধি ! তুই কি নিষ্ঠুর!—এমনতর অসামান্য রূপলাবণ্য দিয়ে যদি তাকে প্রথমে নিৰ্ম্মাণ করলি, তবে আবার তার এরূপ অবস্থা কেন করলি বল দিকি ? প্রিয়সখী সাগরিক জীবনে হতাশ হয়ে এই রত্নমালাটি আমার হাতে সঁপে দিয়ে গেছে ; আর আমাকে বলে দিয়েছে, কোন একজন ব্রাহ্মণকে এইটি দান করবে। এখন তবে একজন ব্রাহ্মণের অন্বেষণ করি । হৃষ্ট হইয়া বসন্তকের প্রবেশ । বল।—হি হি হি হি । আজ প্রিয়সথা দেবী বাসবদত্তাকে প্রসন্ন করেছেন ; তাই দেবী তুষ্ট হয়ে আমার বন্ধন মোচন করে', স্বহস্তে মেঠাই:মও দিয়ে আমার উদরটি পরিপূর্ণ করেছেন ; আর, এই এক যোড়া পট্টবস্ত্র, আর এই কানের অলস্কারটিও দিয়েছেন। এখন তবে রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিগে যাই । ( পরিক্রমণ )
পাতা:রত্নাবলী নাটক.djvu/৭৮
অবয়ব