বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবীন্দ্রনাথ - অজিতকুমার চক্রবর্তী (১৯৬০).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জন্য সমস্ত প্রাণ ব্যাকুল হইয়া উঠিল!

 ‘খেয়া’র অবশিষ্ট কবিতায় আবার একটি নূতন অপেক্ষার বেদনা।

আমার গোধূলি-লগন এল বুঝি কাছে
গোধূলি লগন রে!
বিবাহের রঙে রাঙা হয়ে আসে
সোনার গগন রে!

 স্বদেশের কর্মক্ষেত্রের কাছে এবারে বিদায়:

বিদায় দেহ, ক্ষম আমায় ভাই!
কাজের পথে আমি তো আর নাই!
এগিয়ে সবে যাও-না দলে দলে,
জয়মাল্য লও-না তুলি গলে,
আমি এখন বনচ্ছায়াতলে
অলক্ষিতে পিছিয়ে যেতে চাই—
তোমরা মোরে ডাক দিয়ো না ভাই!···
মেঘের পথের পথিক আমি আজি,
হাওয়ার মুখে চলে যেতেই রাজী,
অকুল-ভাসা তরীর আমি মাঝি
বেড়াই ঘুরে অকারণের ঘোরে—
তোমরা সবে বিদায় দেহ মোরে।

 আবার সেই সর্বানুভূতির কথা! আমি আমার এই প্রবন্ধের গোড়ায বলিয়াছিলাম যে, এই সর্বানুভূতিই কবির জীবনের ও কাব্যের মূল সুর। তাঁহার বীণায় সরু মোটা অন্যান্য তারে কখনো প্রেমের কখনো সৌন্দর্যের কখনো স্বদেশানুরাগের বিচিত্রগম্ভীর বিশ্বব্যাপী সুদূরবিস্তৃত ঝংকার বাজিয়াছে, কিন্তু সকল সুর ছাপিয়া এই সর্বানুভূতির মূলরাগিণীই

১১৪