এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদুষীরা তোমার গলায়
পরায় বরমালা।
তার পর ক্রমেই এই কল্যাণময় সৌন্দর্যবোধ বিশ্বসত্যের সঙ্গে মিলিত হইতে চলিয়াছে। ‘সব-পেয়েছির দেশে’ ক্ষণিকা হইতে আর-এক ধাপ উপরে উঠা গিয়াছে। এখানে, ‘যাহা-কিছু প্রকাশ পাইতেছে তাহাই পরিপূর্ণ আনন্দরূপ’ উপনিষদের এই কথাই কবির উপলব্ধির মধ্যে আসিয়া পৌঁছিয়াছে।
এই ‘সব-পেয়েছির দেশে' অসাধারণত্ব কিছুই নাই, সুতরাং
এক রজনীর তরে হেথা
দূরের পান্থ এসে
দেখতে না পায় কী আছে এই
সব-পেয়েছির দেশে।
তবে ‘সব-পেয়েছি’ কিসে? এই-যে
পথের ধারে ঘাস উঠেছে
গাছের ছায়াতলে,
এই-যে
স্বচ্ছ তরল স্রোতের ধারা
পাশ দিয়ে তার চলে,
এই-যে
কুটিরেতে বেড়ার ’পরে
দোলে ঝুম্কা লতা,
সকাল হ’তে মৌমাছিদের
ব্যস্ত ব্যাকুলতা—
ইহারই মধ্যে সব পেয়েছি, ইহারই মধ্যে পরমা তৃপ্তি, এইখানেই কবি
১২০