ভাবী পরিণামের দিকে অগ্রসর করিয়া দিতেছেন।
“অন্তর্যামী” কবিতাটিতে এই দুই দিক দিয়া জীবনের এবং কাব্যে জীবনদেবতার স্বজনলীলার আশ্চর্য রহস্য বর্ণিত হইয়াছে।
একি কৌতুক নিত্যনূতন
ওগো কৌতুকময়ী!
আমি যাহা কিছু চাহি বলিবারে
বলিতে দিতেছ কই?
অন্তরমাঝে বসি অহরহ
মুখ হতে তুমি ভাষা কেড়ে লহ,
মোর কথা লয়ে তুমি কথা কহ
মিশায়ে আপন সুরে।···
যে কথা ভাবি নি বলি সেই কথা,
যে ব্যথা বুঝি না জাগে সেই ব্যথা,
জানি না এনেছি কাহার বারতা
কারে শুনাবার তরে!
ইহার অর্থ এই যে, যে ব্যক্তি কাব্য রচনা করে সে যেটুকু সীমার মধ্যে আপনার বলিবার কথাকে কল্পনা করিয়া রাখিয়াছে, এই কৌতুকময়ী জীবনদেবতা সেই সীমাবদ্ধ ছোট কথারই মধ্যে আপনার নিত্য বাণীর সুর যখন মিশাইয়া দেন তখন কবি অবাক হইয়া যান। এ বিস্ময় কেবলই কাব্যে নয়, জীবনেও:
একদা প্রথম প্রভাতবেলায়
সে পথে বাহির হইনু হেলায়,
মনে ছিল দিন কাজে ও খেলায়
কাটায়ে ফিরিব রাতে।
৫৮