আমার মিলন লাগি তুমি
আসছ কবে থেকে।
তোমার চন্দ্র সূর্য তোমায়
রাখবে কোথায় ঢেকে।
এই জীবনের ধারাটিকে সকল হইতে স্বতন্ত্র করিয়া অনাদিকাল হইতে এই জীবনদেবতা বহন করিয়া আনিতেছেন। অনন্ত সৃষ্টির মাঝখানে এই একটি বিশেষ ধারা অক্ষুণ্ণভাবে প্রবাহিত। জীবনে জীবনে এই বিশেষের সঙ্গে এই জীবনদেবতার নূতন নূতন লীলা।
জীবনকুঞ্জে অভিসারনিশা
আজি কি হয়েছে ভোর?
ভেঙে দাও তবে আজিকার সভা,
আনো নব রূপ, আনো নব শোভা,
নূতন করিয়া লহো আরবার
চিরপুরাতন মোরে।
নূতন বিবাহে বাঁধিবে আমায়
নবীনজীবনডোরে।
আমিত্বের এ এক নূতন তত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ফুটিয়াছে। স্বর্গীয় মোহিতবাবু তাঁহার সম্পাদিত ‘কাব্যগ্রন্থাবলী’র ভূমিকায় লিথিয়াছিলেন যে, জীবনদেবতাকে বিশ্বদেবতা কল্পনা করিলে ভুল হইবে। সে এই কারণেই। এই যে আমি আমাকে বলি ‘আমি’— এই আমির ক্ষেত্রে এই বিশেষের মধ্যেই জীবনদেবতার বিশেষ লীলা, এই ব্যক্তিত্বটিকেই তিনি জীবনে জীবনে ক্রমাগত সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল পদার্থের সঙ্গে সংযুক্ত করিয়া ইহাকে বৃহৎ বৃহত্তর করিয়া সৃষ্টি করিয়া চলিয়াছেন। সুতরাং বিশ্ব অভিব্যক্তির ধারা যেমন বিজ্ঞানে আমরা অনুসরণ করিয়া
৬১