এক দিকে আনন্দ, অন্য দিকে তেমনি চিরপরিচিত দিবসের বিদায়ের একটি ম্লান বিষাদ— ‘কল্পনা’য় অতীতকালের স্বপ্নসৌন্দর্যবয়নের মধ্যে সেই রকমের একটি মিশ্রিত পুলকবেদনা জড়িত হইয়া আছে।
সত্যই সন্ধ্যা আসিয়াছে। ‘চিত্রা’ ‘সোনার তরী’র জীবনের কাছে বিদায়! এখন নূতন জীবনের যাত্রায় পক্ষ বিস্তার করিয়া দিতে হইবে, কিন্তু হায়, কোন্ পথে কোন্ ভাবলোকে যে নূতন করিয়া উড়িতে হইবে তাহার কোনো ঠিকঠিকানা নাই।
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা-আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক্-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা,
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা ।
বাস্তবিক বড় একটি সকরুণ বিষাদের সঙ্গে ‘কল্পনা’য় বারবার পিছন ফিরিয়া গত জীবনের সমস্ত প্রিয় জিনিসগুলির দিকে কবিকে তাকাইতে হইতেছে:
কোথা রে সে তীর ফুলপল্লবপুঞ্জিত,
কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা।
“ভ্রষ্টলগ্ন” কবিতাটিতে আপনার সেই সৌন্দর্যের মধ্যে গূঢ়নিবিষ্ট মাধুর্যময় জীবনটি রূপকথার রাজবালার নানা সাজসজ্জা অলঙ্কার প্রসাধন- সখীদের নানা মধুর লীলার রূপকে মণ্ডিত হইয়া যখন ব্যর্থতার কান্না কাঁদিতেছে তখন তাহার মধ্যে বড় একটি করুণা আছে! যে নূতন
৭৬