কবি আপনিই বলিয়াছেন:
গভীর সুরে গভীর কথা
শুনিয়ে দিতে তোরে
সাহস নাহি পাই—
ঠাট্টা ক’রে ওড়াই, সখি,
নিজের কথাটাই।
‘ক্ষণিকা’র প্রথম ভাগে সকল কবিতার মধ্যেই নিজের বেদনাকে এই ঠাট্টা করিয়া ওড়ানোর একটা ভাব আছে। আপনার মনের সঙ্গে একটা ‘বোঝাপড়া’ আছে— কাজ কি পিছন ফিরিয়া তাকাইবার, আপনার সুখদুঃখ লাভক্ষতি গণনা করিবার:
মনেরে আজ কহ যে
ভালোমন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে।
তাই ভোগের জীবন এবার গতপ্রায়। আপনাকে আর নানার মধ্যে ঘুরাইবার আকাঙ্ক্ষা নাই— ভারবর্জিত, মুক্ত, সহজ এবং আনন্দিত হইবার জন্য প্রাণ ব্যাকুল।—
তোমরা নিশি যাপন করো,
এখনো রাত রয়েছে ভাই!
আমায় কিন্তু বিদায় দেহ—
ঘুমতে যাই, ঘুমতে যাই।
যৌবনের আবেগে ‘ছিন্ন-রসারসি’ অনেকবার যে সিন্ধুপানে ভাসিয়া যাওয়া গিয়াছে সে তীব্র আবেগ শান্ত হইতেই কবি গ্রামের প্রান্তে, কূলের কোলে, বটের ছায়াতলে, ঘাটের পাশে বাসা বাঁধিলেন। কাব্যটির এইখানেই যথার্থ আরম্ভ। এইখানে অকাজে কবি ভারশূণ্য
৮৭