আজি আসিয়াছ ভুবন ভরিয়া
গগনে ছড়ায়ে এলোচুল,
চরণে জড়ায়ে বনফুল।
ঢেকেছ আমারে তোমার ছায়ায়
সঘন সজল বিশাল মায়ায়,
আকুল করেছ শ্যাম সমারোহে
হৃদয়সাগর-উপকূল
চরণে জড়ায়ে বনফুল।
বসন্তের যে-সমস্ত বিচিত্র আয়োজনের মধ্যে এই সৌন্দর্যের আরাধ্যা দেবীকে পূর্বে কবি আহ্বান করিতেন সে আয়োজন ভাঙিয়া চুরিয়া গিয়াছে— ‘ক্ষণিকা’র সর্বত্র অতি সামান্য বিষয়ে নিতান্ত তুচ্ছতার মধ্যে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের আবাহন।—
এই ক্ষণিকের পাতার কুটিরে
প্রদীপ-আলোকে এস ধীরে ধীরে,
এই বেতসের বাঁশিতে পড়ুক
তব নয়নের পরসাদ!
এই গভীর সৌন্দর্যের মধ্যে-যে কবি আসিয়া পড়িলেন, এইখানেই ‘নৈবেদ্যে’র আরম্ভ—এইখানেই প্রকৃতি ছাড়িয়া প্রকৃতির অধীশ্বর যিনি তাঁহার পরিচয় অল্পে অল্পে ফুটিয়া উঠিল।
অসীম মঙ্গলে মিলিল মাধুরী,
খেলা হ’ল সমাধান
চপল চঞ্চল লহরীলীলা
পারাবারে অবসান।
বিচিত্রতার জীবনের এইখানেই শেষ এবং একের সঙ্গে একের
৯০