পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| H f أبي ا يذ } } so " . o র !

ly স্বতরাং এখন তাহ কবিতা হইয়া দাড়াইয়াছে, কারণ এখন তাহাতে আমাদের মনে নানা ভাবের উত্ৰেক করে। কিন্তু পাঠকেরা যদি ভাবিয়া দেখেন, যে, এখনকার কোন কবি যথার্থ সত্য মনে করিয়া যেরূপ করিয়া উষা বা সন্ধ্যার একটা গড়ন বঁাধিয়া দেন, সকল লোকেই যদি তাহাই অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলিয়া শিরোধাৰ্য্য করিয়া লয়, তাহা হইলে কবিতার রাজ্য কি সঙ্কীর্ণ হইয়া আসে ! কত লোকে সন্ধ্যা ও উষাকে কল্পনায় কত ভাবে, কত আকারে দেখে, এক সময় এক রকম দেখে, আর এক সময়ে আর এক রকমে দেখে, কিন্তু পূৰ্ব্বোক্তরূপ করিলে তাহাদের সকলেরই কল্পনার মধ্যে একটা বিশেষ ছাঁচ তৈরি করিয়া রাখা হয় ; উষা ও সন্ধ্যা যথনি তাহার মধ্যে গিয়া পড়ে তখনি একটা বিশেষ আকার ধারণ করিয়া বাহির হয় । ब যতই জ্ঞান বাড়িতেছে ততই কবিতার রাজ্য বাড়িতেছে। কবিতা যতই বাড়িতেছে কবিতার ততই শ্রম-বিভাগের আবশ্যক হইতেছে, ততই খণ্ডকাব্য গীতিকাব্যের স্বষ্টি হইতেছে। চণ্ডিদাস ও বিদ্যাপতি । নিজের প্রাণের মধ্যে, পরের প্রাণের মধ্যে ও প্রকৃতির প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করিবার ক্ষমতাকেই বলে কবিত্ব । যাহারা প্রকৃতির বহিদ্ধারে বসিয়া কবি হইতে যায়, তাহারা কতকগুলা বড় বড় কথা, টানাবোন তুলনা ও কাল্পনিক ভাব লইয়া ছন্দ নিৰ্মাণ করে। মৰ্ম্মের মধ্যে প্রবেশ করিবার জন্য যে কল্পনা আবশ্যক করে, তাহাই কবির কল্পনা ; আর গোজ-মিলন দিবার কল্পনা, না পড়িয়া পণ্ডিত হইবার, না অনুভব করিয়া কবি হইবার এক প্রকার গিলটি-করা কল্পনা আছে, তাহা জালিয়াতের কল্পনা । যিনি প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করিয়া কবি হইয়াছেন, তিনি সহজ কথার কবি, সহজ ভাবের কবি । কারণ যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তাহাকে দশ কথা বলিতে হয়, আর যিনি সত্য বলেন, র্তাহাকে এক কথার বেশী বলিতে হয় না। তেমনি যিনি অকুভব করিয়া বলেন তিনি দুটি কথা বলেন, আর যে অনুভব না করিয়া বলে, সে পাচ কথা বলে অথচ ভাব প্রকাশ করিতে পারে না। অতএব সহজ ভাষার, সহজ ভাবের, সহজ কবিতা লেখাই শক্ত, কারণ তাহাতে প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিতে হয় ; সকলের প্রাণের