| •ြ •, • ५ ‘तःि, # | | * ויח উপনিষদের ঋষি যে জীবাত্মামাত্রেরই নিকট পরমাত্মাকে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্ৰতিজনক বলিতেছেন তাঁহার অর্থ কি ? যদি তাহাই হইবে তবে আমরা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া ভ্ৰাম্যমাণ হই কেন ? একটি দৃষ্টাস্ত দ্বারা ইহার অর্থ বুঝাইতে ইচ্ছা করি । , কোন রসজ্ঞ ব্যক্তি যখন বলেন কাব্যরসাবতারণায় বাল্মীকি শ্রেষ্ঠ কবি—তখন একথা বুঝিলে চলিবে না যে কেবল তাহারই নিকট বাল্মীকির কাব্যরস সৰ্ব্বাপেক্ষ উপাদেয়। তিনি বলেন সকল পাঠকের পক্ষেই এই কাব্যরস সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ—ইহাই মনুষ্য-প্রকৃতি । কিন্তু কোন অশিক্ষিত গ্রাম্য জানপদ বাল্মীকির কাব্য অপেক্ষ যদি স্থানীয় কোন পাচালি গানে অধিক সুখ অনুভব করে তবে তাহার কারণ তাহার অজ্ঞতামাত্র। সে লোক অশিক্ষাবশতঃ বাল্মীকির কাব্য যে কি তাহ জানে না, এবং সেই কাব্যের রস যেখানে, অনভিজ্ঞতাবশতঃ সেখানে সে প্রবেশ লাভ করিতে পারে ন!—কিন্তু তাহার অশিক্ষাবাধা দূর করিয়া দিবামাত্র যখনি সে বাল্মীকির কাব্যের যথার্থ পরিচয় পাইবে তখনি সে স্বভাবতই মানবপ্রকৃতির নিজগুণেই গ্রাম্য পাচালি অপেক্ষা বাল্মীকির কাব্যকে রমণীয় বলিয়া জ্ঞান করিবে । তেমনি যে ঋষি ব্রহ্মের অমৃতরস আস্বাদন করিয়াছেন, যিনি তাহাকে পৃথিবীর অন্য সকল হইতেই প্রিয় বলিয়া জানিয়াছেন, তিনি ইহা সহজেই বুঝিয়াছেন যে ব্রহ্ম স্বভাবতই আত্মার পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রতিদায়ক— ব্রহ্মের প্রকৃত পরিচয় পাইবামাত্র আত্মা স্বভাবতই তাহাকে পুত্র, বিত্ত ও অন্ত সকল হইতেই প্রিয়তম বলিয়া বরণ করে। ব্রহ্মের সহিত এই পরিচয় যে কেবল আত্মার আনন্দ সাধনের জন্য তাহা নহে, সংসারযাত্রার পক্ষেও তাহা না হইলে নয়। ব্রহ্মকে যে ব্যক্তি বৃহৎ বলিয়া না জানিয়া সংসারকেই বৃহৎ বলিয়া জানে সংসারযাত্রা সে সহজে নিৰ্ব্বাহ করিতে পারে না,— সংসার তাহাকে রাক্ষসের ন্যায় গ্রাস করিয়া নিজের জঠরানলে দগ্ধ করিতে থাকে ! এই জন্য ঈশোপনিষদে লিখিত হইয়াছে— ঈশা বাস্তমিদং সৰ্ব্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ— ঈশ্বরের দ্বারা এই জগতের সমস্ত যাহা কিছু আচ্ছন্ন জানিবে এবং— তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা মা গৃধঃ কস্তস্বিন্ধনং তাহার দ্বারা যাহা দত্ত, যাহা কিছু তিনি দিতেছেন তাহাই ভোগ করিবে পরের ধনে লোভ করিবে না । সংসারযাত্রার এই মন্ত্র । ঈশ্বরকে সৰ্ব্বত্র দর্শন করিবে, ঈশ্বরের দত্ত আনন্দ-উপকরণ উপভোগ করিবে, লোভের দ্বারা পরকে পীড়িত করিবে না । যে ব্যক্তি ঈশ্বরের দ্বারা সমস্ত সংসারকে আচ্ছন্ন দেখে সংসার তাহার নিকট একমাত্র