পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سطول 4) কারণ-অনুসন্ধান প্রবর্তিত হয় । তাহাতে দেখা যায় যে, এই সকল রোগ প্রতিনিয়ত ঘটিবার মুখ্য কারণ, সাধারণত যথেষ্ট কুইনীন ব্যবহার না করা। দৈনিক অল্পমাত্রায় কুইনীন-ব্যবহার রোগ-প্রতিষেধক বলিয়া উপদিষ্ট ও প্রায় সমগ্র যুরোপীয় সমাজ কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে এবং তাহার ফল হইয়াছে যে, তাহাদের মধ্যে কালাজ্বর ঘটা প্রায় থামিয়া গিয়াছে। যথানিয়মে কুইনীন ব্যবহার করায় অনেক যুরোপীয় মহিলা ও শিশু দুয়ার প্রদেশে থাকিয়াই অপেক্ষাকৃত উত্তম স্বাস্থ্য ভোগ করিতে সমর্থ হইয়াছেন। এক্ষণে দুয়ার প্রদেশকে মোটের উপর একটি স্বাস্থ্যকর জেলা বলা হইয়া থাকে, দশ বৎসর পূর্বে ইহা চিন্তা করাই অসম্ভব হইত। X ૨ જ সম্প্রতি দুয়ার প্রদেশের সমস্ত যুরোপীয় সরকারী চিকিৎসকদের নিকটে, তথাকার অধিবাসীদের মধ্যে কুইনীন ব্যবহার সম্বন্ধে অনুসন্ধান করা উপদিষ্ট হইয়াছিল এবং সেই অনুসন্ধানের ফল ১৯১৭ সালের বাঙ্গালার স্বাস্থ্য-সম্বন্ধীয় রিপোর্টে প্রকাশিত হইয়াছে। দেখা গিয়াছে, যুরোপীয়দের মধ্যে কুইনীনের ব্যবহার শিশু এবং বয়ঃপ্রাপ্ত উভয়েরই মধ্যে মোটের উপর ব্যাপক। এবং একজন চিকিৎসক লিখিতেছেন, “প্রতিষেধক কুইনীন-প্রচলনের পর হইতে ইংলণ্ড হইতে সদ্য-আগত যুবাপুরুষ এবং এই জেলায় জাত যুরোপীয় শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নতি দেখিয়া আমি অত্যন্ত বিস্মিত হইয়াছি।” ృ\నిరి উহারা ম্যালেরিয়া জ্বরে প্রায় ততটা বেশি ভোগে না এবং উহাদের প্লীহাবুদ্ধি রোগ দৈবাং দেখা যায়। কালাজর-রোগের সংখ্যার হ্রাস সুস্পষ্ট বুঝা যাইতেছে ; এবং ত দূর স্মরণ হয়, গত নয় বংসরে যুরোপীয় অধিবাসিগণের মধ্যে আমি চারিটিমাত্র কালাজরের রোগী পাইয়াছিলাম ; উহাদের মধ্যে দুটির রোগ নিতান্তই সামান্য এবং যে একজন রোগীর অবস্থা খুব খারাপ ছিল, সে আমার কাছে স্বীকার করিয়াছিল যে, আমার উপদেশ-অনুযায়ী কুইনীন সে ব্যবহার করিত না । যখন হইতে কুইনীনব্যবহার ব্যাপক হইয়াছে তখন হইতে স্বাস্থ্যের সাধারণ উন্নতি-সম্বন্ধে বোধ হয় সৰ্ব্বসাধারণের মতের ঐক্য ঘটিয়াছে।