পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজ পাঠ ఆరి( বাচ্চাট বড়ো চেঁচাচ্ছে, ঘুমতে দিচ্ছে না। ওকে শাস্ত ক’রে দিয়ে এসো। ওটা কিসের ডাক, উল্লাস । অশ্বথ গাছে পেচার ডাক। উচ্ছের ক্ষেত থেকে ঝিল্লি ঐ ঝি ঝি করছে। দরজার পাল্লাটা বাতাসে ধড়াস ধড়াস ক’রে পড়ছে, বন্ধ ক’রে দাও । ওটা কি কান্নার শব্দ । না, রান্নাঘর থেকে বিড়াল ডাকছে । যাও না উল্লাস, থামিয়ে দিয়ে এসোগে । আমার ভয় করছে। বড়ো অন্ধকার । ভজ্জ্বকে ডেকে দিই। ছি ছি উল্লাস, ভয় করতে লজ্জা করে না ? আচ্ছা, আমি নিজে যাচ্ছি। আর তো রাত নেই । পুব দিক উজ্জল হয়েছে। ওঘরে বিছানায় খুকি চঞ্চল হয়ে উঠল। বাঞ্ছাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দাও । বাঞ্ছা শীঘ্র আমার জন্যে চা আনুক আর কিঞ্চিৎ বিস্কুট । আমি ততক্ষণ মুখ ধুয়ে আসি রক্ষামণি থাকো খুকুর কাছে। তুমিও সাজসজ্জা ক’রে তৈরি থাকো, উল্লাস । বেড়াতে যাব । উত্তম কথা । কিন্তু ঘাস ভিজে কেন । এক পত্তন বৃষ্টি হয়ে গেল বুঝি । এবার লণ্ঠনটা নিবিয়ে দাও । আর মণ্ট কে বলে, বারান্দা পরিষ্কার করে দিক ৷ এখনি রেভারেও এণ্ডাসেন আসবেন । পণ্ডিত মশায়েরও আসবার সময় হোলো। ঐ শোনে, কুণ্ডুদের বাড়ি ঢং ঢং ক’রে ফুটার ঘণ্টা বাজে। আকাশপারে পুবের কোণে কখন যেন অন্যমনে ফাক ধরে ঐ মেঘে, মুখের চাদর সরিয়ে ফেলে বন্ধ চোখের পাতা মেলে আকাশ ওঠে জেগে । ছি ড়ে-যাওয়া মেঘের থেকে পুকুরে রোদ পড়ে বেঁকে লাগায়, ঝিলিমিলি, বঁাশবাগানের মাথায় মাথায় তেঁতুলগাছের পাতায় পাতায় হাসায় খিলিখিলি । হঠাৎ কিসের মন্ত্র এসে ভুলিয়ে দিলে এক নিমেষে বাদলবেলার কথা,