পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাদর্শ প্রশ্ন ہہ را বলে অবজ্ঞা করল, এতেই তার চরিত্রগৌরব আপনার ভিতর থেকে যথার্থ মূল্য পেয়েছে । ইংলণ্ডের পল্লীগ্রাম বাগান প্রবন্ধে যে তত্ত্বটি আছে এই প্রবন্ধে তারই দৃষ্টাস্ত দেওয়া হয়েছে। গরিব চাষী, কঠিন পরিশ্রমে তাকে দিন কাটাতে হয়, তবু সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে এসে বাসস্থানকে সুন্দর ক’রে তোলবার জন্যে এই যে উৎসাহ তাকে দেওয়া হয় ভেবে দেখতে গেলে এটা সমস্ত দেশের প্রতি কর্তব্যসাধন । দেশকে শ্ৰীসম্পন্ন ক’রে তোলবার দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক লোকের স্বীকার ক’রে নেওয়া উচিত। এই অধ্যবসায়ের অভাবে আমাদের দেশের পল্লীগ্রামের কী রকম দুরবস্থা তোমার অভিজ্ঞতা থেকে তার বর্ণনা করে । জাহাজের খোল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ স্বদেশের যে হিতসাধনায় নিজের সর্বস্ব ক্ষয় করেছিলেন এই লেখায় তারি কিঞ্চিং বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই জাহাজ চালানো অবলম্বন ক’রে অনেকে এমন ব্যবসায় ক’রে থাকেন যাতে তাদের অর্থলাভ হোতে পারে কিন্তু জ্যোতিরিন্দ্রের ব্যবসায় যে সিদ্ধিলাভের অভিমুখে ছিল তা অর্থলাভের বিপরীত দিকে । তার সেই দেউলে হওয়া অধ্যবসায়ের বিবরণ আপন ভাষায় লেখো । যে উৎসাহের উৎস তার মনের মধ্যে অক্ষয় হয়ে ছিল ব’লে এত বড়ো ক্ষতির মধ্যে তাকে অবসাদগ্ৰস্ত করতে পারেনি সেইটিই এই প্রবন্ধের মূল কথা । উদ্যোগ শিক্ষা দেহে ও মনে জ্ঞানে ও কর্মে মানুষকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে হবে তাকে শিক্ষাদান করার উদ্দেশ্য এই । পুথিগত বিদ্যায় আমরা এমন অভ্যস্ত যে এই সর্বাঙ্গণ শিক্ষাকে আমরা অনায়াসে উপেক্ষা করি । চারিদিকের প্রতি আমাদের ঔৎসুক্য চ’লে গেছে । নানা প্রয়োজনের দাবি আমাদের চারদিকে অথচ মনের জড়ত্ববশত সে দাবি আপন বুদ্ধিতে মেটাবার প্রতি উৎসাহ নেই, বহুকেলে বাধা প্রণালীর প্রতি ভর দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকি । এ সম্বন্ধে শান্তিনিকেতন আশ্রমে লেখক যে সব ব্যর্থতার লক্ষণ দেখেছেন তারি উল্লেখ ক’রে প্রসঙ্গটির আলোচনা করে । দেবীর বলি এই গল্পাংশের মধ্যে যে কয়টি বর্ণনা আছে তাদের কী রকম ক’রে ফলিয়ে তোলা হয়েছে তা বুঝিয়ে বলবার চেষ্টা করে। প্রথম জনশূন্ত রাত্রি, দ্বিতীয় জয়সিংহের