পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ט "לט\ বিবাহ রাজপুতানার ইতিহাস থেকে এই গল্পটি নেওয়া । বিবাহসভায় মেত্রির রাজকুমারকে যুদ্ধে আহবান, বিবাহ অসমাপ্ত রেখে বরের যাত্র রণক্ষেত্রে। তার অনতিকাল পরে বিবাহের সাজে চতুৰ্দোলায় চড়ে বধূর গমন মেত্রিরাজপুরে, সেখানে যুদ্ধে নিহত কুমার তখন চিতাশয্যায়। সেইখানেই মৃত্যুর মিলনে বরকন্যার অসম্পূর্ণ বিবাহের পরিসমাপ্তি । কল্পনায় সমস্ত ব্যাপারটিকে আগাগোড়া উজ্জল ক’রে মনের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়াই এই কবিতার সার্থকতা। বিবাহসভায় বরের প্রতি যুদ্ধের আহবান এবং বিবাহের প্রতিহত প্রত্যাশায় কন্যার মৃত্যুকে বরণ এই দুই আকস্মিকতার নিদারুণতায় এই কবিতার রস। এক দিকে করুণতা অন্য দিকে বীর্য মহিমালাভ করেছে তারি ব্যাখ্যা করে । আষাঢ় t আষাঢ়ে বর্ষ নেমেছে। পল্লিজীবনের একটি উদ্বেগের চাঞ্চল্যের উপর এই ছবিটি ঘনিয়ে উঠেছে । সেই উদ্বেগের কী রকম বর্ণনা করা হয়েছে মনের মধ্যে একে নিয়ে তোমাদের ভাষায় প্রকাশ করে । নগরলক্ষ্মী শ্রাবস্তী পুরীতে দুর্ভিক্ষ যখন দেখা দিল বুদ্ধদেব তার শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন এ নগরীর ক্ষুধা নিবারণের ভার কে নেবে। তাদের প্রত্যেকের উত্তর শুনে বোঝা গেল স্বতন্ত্র ব্যক্তিগতভাবে কারো সাধ্য নেই এই গুরুতর কর্তব্য সম্পন্ন করা । তখন অনাথপিওদের কন্যা ভিক্ষুণী সুপ্রিয় বললেন, এই ভার আমি নেব। ভিক্ষুণী আপন নিঃস্বতা সত্ত্বেও এই গুরুভার নিলেন কিসের জোরে । ৰিম্ববতী সুন্দরকে যে নারী সৌন্দর্যে ছাড়িয়ে যেতে চায় সে কি সুন্দরের বিপরীত মনোভাব ও চেষ্টা দ্বারা জগতে কৃতকার্য হোতে পারে। সেই প্রয়াসে ফল হোলো কী । কর্ম কর্মের বিধান নিষ্ঠুর । মানুষের নিবিড়তম বেদনার উপর দিয়েও তার রথচক্র চলে যায়। এই কবিতায় যে ভৃত্যটির কথা আছে রাত্রে তার মেয়েটি মারা গেছে তবু কাজের দাবি থেকে তার নিষ্কৃতি নেই। কিন্তু এই কবিতায় যে সকরুণতা