পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
১০
রবীন্দ্র-রচনাবলী


শূন্য আকাশের পটে হে প্রকৃতিদেবি
কি কবিতা লিখেছ ষে জলন্ত অক্ষরে,
যত দিন রবে প্রাণ পড়িয়া পড়িয়া
তবু ফুরাবে না পড়া ; মিটিবে না আশ !
শত শত গ্রহ তারা তোমার কটাক্ষে
কাপি উঠে থরথরি, তোমার নিশ্বাসে
ঝটিকা বহিয়া যায় বিশ্বচরাচরে ।
কালের মহান পক্ষ করিয়া বিস্তার,
অনন্ত আকাশে থাকি হে আদি জননি,
শাবকের মত এই অসংখ্য জগৎ
তোমার পাথার ছায়ে করিছ পালন !
সমস্ত জগৎ যবে আছিল বালক,
ছুরস্ত শিশুর মত অনন্ত আকাশে
করিত গো ছুটাছুটি না মানি শাসন,
স্তনদানে পুষ্ট করি তুমি তাহাঙ্গের
অলঙ্ঘ্য সখ্যের ভোরে দিলে গো বাধিয়া ।
এ দৃঢ় বন্ধন যদি ছিড়ে একবার,
সে কি ভয়ানক কাগু বাধে এ জগতে,
কক্ষচ্ছিন্ন কোটি কোটি স্থৰ্য্য চন্দ্র তারা
অনস্ত আকাশময় বেড়ায় মাতিয়া,
মগুলে মগুলে ঠেকি লক্ষ স্থৰ্য্য গ্রহ
চূর্ণ চূর্ণ হোয়ে পড়ে হেথায় হোথায় ;
এ মহান জগতের ভগ্ন অবশেষ
চূর্ণ নক্ষত্রের স্তৃপ, খণ্ড খণ্ড গ্রহ
বিশৃঙ্খল হোরে রহে অনস্ত আকাশে !
অনস্ত আকাশ আর অনন্ত সময়,
যা ভাবিতে পৃথিবীর কীট মানুষের
ক্ষুত্র বুদ্ধি হোয়ে পড়ে ভয়ে সঙ্কুচিত,
তাহাই তোমার দেবি সাধের অাবাস ।
তোমার মুখের পানে চাহিতে হে দেবি