পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रवैौटल-ब्रछनांवलौ وه e 8 প্রাণের স্কৃত্তিতে সন্ধ্যার কোলে খেলিয়ে বেড়াচ্চে এই বা দেখতে খারাপ লাগৰে কেন ? নীরদ । তা ঠিক বলেচ ! ( কিছুক্ষণ ভাবিয়া ) কিন্তু ষার কোন চিন্তা নেই, সে बन कि बन ? ८ष रुश्ब्र आब्र ८कन रुक्रब्रव्र जरछ डांप्व मा, चां*मारक निरबहे আপনি সন্তুষ্ট আছে, তাকে কি স্বার্থপর বলব না ! নবীন। তুমি নিজে স্বাধপর বলেই তাকে স্বার্থপর বলচ ! ৰে হৃদয় তোমার হৃদয়ের জন্তে ভাবে না তার আনন্দ তার হাসি তোমার ভাল লাগে না, এর চেয়ে স্বার্থপরতা আর কি আছে ! আমি ত, ভাই, সে ধাতের লোক নই। সে আমাকে হৃদয় দিক আর নাই দিক আমার তাতে কি আসে যায় ? আমি তার যতটুকু মধুর তা উপভোগ করব না কেন ? তার মিষ্টি হাসি মিষ্টি কথা পেতে আপত্তি কি আছে ! নীরদ। স্বার্থপরতা ? ঠিক কথাই বটে। এত দিনে আমার মনের ভাব ঠিক বুঝতে পারলুম। ঐ সরলা বালা আমোদ ক’রে বেড়াচ্চে তাতে আমার মনে মনে তিরস্কার করবার কি অধিকার অাছে। অামি কোথাকার কে ! আমি অনবরত তাকে অপরাধী করি কেন ! নলিনীর প্রবেশ নলিনী, আমাকে মার্জনা কর । নবীন । ( তাড়াতাড়ি ) আবার ও সব কথা কেন ? বড় বড় হৃদয়ের কথা ব’লে বালিকার সরল মনকে ভারগ্রস্ত করবার দরকার কি ? ( হাসিয়া নলিনীর প্রতি ) নলিনী, আজ বিদায় হবার আগে একটি ফুল চাই ! নলিনী । বাগানে ত অনেক ফুল ফুটেচে, যত খুশি তুলে নাও না! নবীন। ফুলগুলিকে আগে তোমার হাসি দিয়ে হাসিয়ে দাও, তোমার স্পর্শ দিয়ে বঁচিয়ে দাও! ফুলের মধ্যে আগে তোমার রূপের ছায়া পড়ুক, তোমার স্থতি জড়িয়ে যাক— তার পরে তাকে স্বরে নিয়ে যাব । নলিনী । (হাসিয়া ) বডড তোমার মুখ ফুটেচে দেখচি ! দিনে দুপুরে কবিতা বলতে আরম্ভ করেচ ! নবীন। আমি কি সাধে বলচি ! তুমি ৰে জোর ক’রে জামাকে কবিতা বলাচ্চ। তোমার ঐ দৃষ্টির পরেশ-পাখরে আমার ভাবগুলি একেবারে সোনাবাধানো হয়ে বেরিয়ে আসচে। নলিনী। তুমি ও কি হেঁয়ালি বলচ আমি কিছুই বুঝতে পায়চি নে।