পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8@२ রবীন্দ্র-রচনাবলী অথবা যেমন যবে প্রশান্ত সায়াহ্নকালে ডুবে স্থধ্য সমুজের কোলে, বিষন্ন কিরণ তার শ্রান্ত বালকের মত প’ড়ে থাকে স্বনীল সলিলে । নিস্তব্ধ সকল দিক, একটি ভাকে না পাখী, একটুও বহে না বাতাস, তেমনি কেমন এক গম্ভীর বিষন্ন স্থখ হৃদয়ে তুলিত দীর্ঘশ্বাস । এইরূপ কত কি ষে হৃদয়ের ঢেউ-খেলা দেখিতাম বসিয়া বসিয়া, মরমের ঘুমঘোরে কত দেখিতাম স্বপ্ন যেত দিন হাসিয়া-খুসিয়া । বনের পাখীর মত অনস্ত আকাশতলে গাহিতাম অরণ্যের গান— আর কেহ শুনিত না, প্রতিধ্বনি জাগিত না, শূন্তে মিলাইয়া যেত তান । প্রভাত এখনো আছে, এরি মধ্যে কেন তবে আমার এমন দুরদশা— অতীতে মুখের স্মৃতি, বৰ্ত্তমানে দুখজালা, ভবিষ্যতে এ কি রে কুয়াশা ! যেন এই জীবনের আঁধারসমূত্ৰ-মাঝে ভাসায়ে দিয়েছি জীর্ণ তরী, এসেছি যেখান হতে অস্ফুট সে নীলতট এখনো রয়েছে দৃষ্টি ভরি! সেদিকে ফিরায়ে আঁখি এখনো দেখিতে পাই ছায়া-ছায়া কাননের রেখা, নানা বরণের মেঘ মিশেছে বনের শিরে এখনো বুৰি রে যায় দেখা । যেতেছি যেখানে ভাসি সেদিকে চাহিয়া দেখি কিছুই ত না পাই উদেশ