পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉર রবীন্দ্র-রচনাবলী চৌদিকে পৃথিবী ধরা নিদ্রায় মগন, তীব্র শীতসমীরণে দুলায়ে পাপগণে বহিছে নিঝরবারি করিয়া চুম্বন, হিমাদ্রিশিখরশৈল করি আবরিত গভীর জলদরাশি তুষার বিভায় নাশি স্থির ভাবে হেথা সেখা রহেছে নিত্রিত । পৰ্ব্বতের পদতলে ধীরে ধীরে নদী চলে উপলরাশির বাধা করি আপগত, নদীর তরঙ্গকুল সিক্ত করি বৃক্ষমূল নাচিছে পাষাণতট করিয়া প্ৰহত ! চারি দিকে কত শত কলকলে অবিরত পড়ে উপত্যকা-মাঝে নিঝরের ধারা । আজি নিশীথিনী কাদে আঁধারে হারায়ে চাদে মেঘ-ঘোমটায় ঢাকি কবরীর তারা। কল্পনে ! কুটার কার তটিনীর তীরে তরুপত্র-ছায়ে-ছায়ে পাদপের গায়ে গায়ে ডুবায়ে চরণদেশ স্রোতস্বিনীনীয়ে ? চৌদিকে মানববাস নাহিক কোথায়, নাহি জনকোলাহল গভীর বিজনস্থল শাস্তির ছায়ায় যেন নীরবে ঘুমায়! কুস্বমভূষিত বেশে ফুটরের শিরোদেশে শোভিছে লতিকামালা প্রসারিয়া কর, কুহুমন্তবকরাশি দুয়ার-উপরে আলি উকি মারিতেছে যেন কুটারভিতর ! কুটারের এক পাশে শাখাদীপ ধূমশ্বাসে স্তিমিত আলোকশিখা করিছে বিস্তায় । অস্পষ্ট আলোক, তায় আঁধার মিশিয়া যায়— B BBBB BB BBB BB BBBS BBB BB BBBBB DD DBB DDD DDDS DDDD লোকেরা উহা প্রদীপের পরিবর্তে ব্যবহার করে।