পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\o রবীন্দ্র-রচনাবলী আজিকার নিশিভোর হইবে যখন ? কালি প্রাতে একাকিনী অসহায়া অনাথিনী সংসারসমুদ্র-মাঝে ঝাপ দিতে হবে । সংসারযাতনাজালা কিছু না জানিস, বালা, আজিও — আজিও তুই চিনিস নে ভবে ! ভাবিতে হৃদয় জলে,— মানুষ কারে যে বলে জানিস নে কারে বলে মাহুষের মন । কার দ্বারে কাল প্রাতে দাড়াইবি শূন্যহাতে, কালিকে কাহার দ্বারে করিবি রোদন ! অভাগা পিতার তোর জীবনের নিশা ভোর— বিষাদ নিশার শেষে উঠিবেক রবি আজ রাত্রি ভোর হলে । কারে আর পিতা বলে ডাকিবি, কাহার কোলে হাসিবি খেলিবি ? জীবধাত্রী বস্বন্ধরে ! তোমার কোলের পরে অনাথ বালিকা মোর করিচু অর্পণ ! দিনকর । নিশাকর । আহা এ বালার পর তোমাদের স্নেহদৃষ্টি করিও বর্ষণ । শুন সব দিকুবালা ! বালিকা না পায় জালা তোমরা জননীক্ষেহে করি ও পালন ! শৈলবালা ! বিশ্বমাতা ! জগতের স্রষ্ট পাতা ! শত শত নেত্রবারি সপি পদতলে— বালিক। অনাথ বোলে স্থান দিও তব কোলে, আবৃত করি ও এরে স্নেহের আঁচলে ! মুছ মা গো অশ্রীজল ! আর কি কহিব বলে। ! অভাগা পিতারে ভোলো জন্মের মতন ! আটকি আসিছে স্বর — অবসন্ন কলেবর । ক্রমশ: মুদিয়া, মা গো, আসিছে নয়ন । মুষ্টিবদ্ধ করতল, শোণিত হইছে জল, শরীর হুইয়। আসে শীতল পাষাণ ! এই– এই শেষবার— কুটিরের চারি ধার