পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や8 রবীন্দ্র-রচনাবলী এতক্ষণে উঠেছেন জননী আমার— এতক্ষণে ফুল তুলি গাখিছেন মালাগুলি, শিশিরে ভিজিয়া গেছে আচল তাহার – সেথাও হরিণ আছে, ফুল ফুটে গাছে গাছে, সেখানেও শুক পাখী ডাকে ধীরে ধীরে ! সেথাও কুটীর আছে, নদী বহে কাছে কাছে, পূর্ণ হয় সরোবর নিঝরের নীরে । আইস । আইস দেব ! যাই ধীরে ধীরে । আয় পাখি ! আয় অঞ্চয় । কার তরে রবি হায়, উড়ে যা উড়ে যা পাখি । তরুর শাখায় । প্রভাতে কণহারে পাখি । জাগাবি রে ডাকি ডাকি ‘কমলা ' 'কমলা ? বলি মধুর ভাষায় ? ভুলে যা কমলা নামে, চলে যা মুখের ধামে, ‘কমলা : ‘কমলা ’ বলে ডাকিস নে আর । চলি তোদের ছেড়ে, যা শুক শাখায় উড়ে— চলিম ছাড়িয়া এই কুটীরের দ্বার । তবু উড়ে যাবি নে রে, বসিবি হাতের পরে ? আয় তবে, আয় পাখি, সাথে সাথে আয়, পিতার হাতের পরে আমার নামটি ধ’রে— আবার আবার তুই ডাকিস সেথায় । আইস পথিক তবে কাল ব'হে যায় ।” সমীরণ ধীরে ধীরে চুম্বিয়া তটিনীনীরে জুলাইতে ছিল আহ! লতায় পাতায়— সহসা থামিল কেন প্রভাতের বায় ? সহসা রে জলধর নব মরুণের কর কেন রে ঢাকিল শৈল অন্ধকার ক’রে ? পাপিয়া শাখার পরে ললিত সুধীর স্বরে তেমনি কর-না গান, থামিলি কেন রে ? ভুলিয়া শোকের জালা ওই রে চলিছে বালা । কুটীর ডাকিছে যেন ধেও না—যে ও না !—