পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थ८ब्र-बाई८ब्र >b"> সেই ওষুধের জোগান ঘটে তা কেউ জানতে পারে না—অবশেষে একদিন জেগে উঠে দেখা যায় মস্ত একটা ব্যবচ্ছেদ ঘটে গিয়েছে । এামার জীবনের সব-চেয়ে বড়ো সম্বন্ধের মধ্যে যখন ছুরি চলছিল তখন আমার মন এমন একটা তীব্র আবেগের গ্যাসে আগাগোড়া আচ্ছন্ন হয়ে রইল ষে আমি টেরই পেলুম না কতবড়ো নিষ্ঠুর একটা কাও ঘটছে । এই বুঝি মেয়েদেরই স্বভাব—তাদের হৃদয়াবেগ যখন একদিকে প্রবল হয়ে জেগে ওঠে অন্যদিকে তাদের আর কিছুই সাড় থাকে না । এই জন্তেই আমরা প্রলয়ংকরী ; আমরা আমাদের অন্ধ প্রকৃতি দিয়ে প্রলয় করি, কেবলমাত্র বুদ্ধি দিয়ে নয়। আমরা নদীর মতে, কুলের মধ্যে দিয়ে যখন বয়ে যাই, তখন আমাদের সমস্ত দিয়ে আমরা পালন করি, যখন কুল ছাপিয়ে বইতে থাকি তখন আমাদের সমস্ত দিয়ে আমরা বিনাশ করি । সন্দীপের আত্মকথা আমি বুঝতে পারছি একটা গোলমাল বেধেছে । সেদিন তার একটু পরিচয় প{ওয়া গেল । নিখিলেশের বৈঠকখানার ঘরটা আমি আসার পর থেকে সদর ও অন্দরে মিশিয়ে একট। উভচর জাতীয় পদার্থ হয়ে দাড়িয়েছিল । সেখানে বাইরের থেকে আমার অধিকার ছিল, ভিতরের থেকে মক্ষীর বাধা ছিল না । আমাদের এই অধিকার যদি আমরা কিছু-কিছু হাতে রেখে রয়ে-বসে ভোগ করতুম তাহলে হয়তো লোকের একরকম সয়ে যেত। কিন্তু বাধ যখন প্রথম ভাঙে তখনই জলের তোড়টা হয় বেশি । বৈঠকখানা-ঘরে আমাদের সভাটা এমনি জোরে চলতে লাগল যে, আর-কোনো কথা মনেই রইল না । বৈঠকখানা-ঘরে যখন মক্ষী আসে আমার ঘর থেকে আমি একরকম করে টের পাই। খানিকট বাল-চুড়ির খানিকট। এটা-ওটার শব্দ পাওয়া যায়। ঘরের দরজাট বোধ করি সে একটু অনাবশুক জোরে ঘা দিয়েই খোলে। তার পরে বইয়ের আলমারির কাচের পাল্লাট একটু আঁট আছে, সেটা টেনে খুলতে গেলে যথেষ্ট শব্দ হয়ে ওঠে। বৈঠকখানায় এসে দেখি দরজার দিকে পিছন করে মক্ষী শেলফ থেকে মনের মতো বই বাছাই করতে অত্যন্ত বেশি মনোযোগী। তখন তাকে এই দুরূহ