পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sసిe রবীন্দ্র-রচনাবলী প্ৰণাম করলে, আর বললে, মাস্টারমশায়, যাবেন না, আপনি বম্বন —সে যেন ডুবজলে পড়ে গেছে, মাস্টারমশায়ের আশ্রয় চায়। ভীরু ! কিংবা অামি হয়তো ভুল বুঝছি। এর ভিতরে হয়তো একটা ছলনা আছে । নিজের দাম বাড়াবার ইচ্ছা । মক্ষী হয়তো আমাকে আড়ম্বর করে জানাতে চায় যে, তুমি ভাৰছ, তুমি আমাকে অভিভূত করে দিয়েছ। কিন্তু তোমার চেয়ে চন্দ্রনাথবাবুকে আমি ঢের বেশি শ্রদ্ধা করি —তাই করো না । মাস্টারমশায়দের তো শ্রদ্ধা করতেই হবে । আমি তো মাস্টারমশায় নই-আমি ফাকা শ্রদ্ধা চাই নে। আমি তো বলেইছি ফাকিতে আমার পেট ভরবে না ;– আমি বস্তু চিনি । চন্দ্রনাথবাবু স্বদেশীর কথা তুললেন। আমার ইচ্ছে ছিল তাকে একটানা বকে যেতে দেব, কোনো জবাব করব না। বুড়োমানুষকে কথা কইতে দেওয়া ভালো— তাতে তাদের মনে হয় তারাই বুঝি সংসারের কলে দম দিচ্ছে—বেচারীরা জানতে পারে না তাদের রসনা যেখানে চলছে সংসার তার থেকে অনেক দূরে চলছে। প্রথমে খানিকটা চুপ করেই ছিলুম–কিন্তু সন্দীপচন্দ্রের ধৈর্য আছে এ বদনাম তার পরম শক্ররাও দিতে পারবে না । চন্দ্রনাথবাবু যখন বললেন, দেখুন, আমরা কোনো দিনই চাষ করি নি, আজ এখনই হাতে হাতে ফসল পাব এমন আশা যদি করি তবে— আমি থাকতে পারলুম না—আমি বললুম, আমরা তে ফসল চাই নে। আমরা বলি, মা ফলেষু কদাচন। চন্দ্রনাথবাবু আশ্চর্য হয়ে গেলেন—বললেন, তবে আপনারা কী চান । আমি বললুম, কঁাটাগছি—ষার আবাদে কোনে খরচ নেই । মাস্টারমশায় বললেন, কাটাগাছ পরের রাস্তা কেবল বন্ধ করে না, নিজের 森博gfびマジぐ3 (研 リ研 আমি বললুম, ওটা হল ইস্কুলে পড়াৰrর নীতিবচন । আমরা তো খড়ি-হাতে বোর্ডে বচন লিখছি নে । আমাদের বুক জলছে এখন সেইটেই বড়ো কথা—এখন আমরা পরের পায়ের তেলোর কথা মনে রেখেই পথে কাটা দেব—তার পরে যখন নিজের পায়ে বিধবে তখন না হয় ধীরে স্বন্থে অসুতাপ করা যাবে । সেটা এমনিই কি বেশি ? মরবার বয়স যখন হবে তখন ঠাগু হবার সময় হবে, যখন জলুনির বয়স তখন ছটফট করাটাই শোভা পায় । চন্দ্রনাথবাবু একটু হেসে বললেন, ছটফট করতে চান করুন কিন্তু সেইটেকেই বীরত্ব কিংবা কৃতিত্ব মনে করে নিজেকে বাহবা দেবেন না। পৃথিবীতে ধে-জাত আপনার জাতকে বাচিয়েছে তার ছটফট করে নি তার কাজ করেছে। কাজটাকে