পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে ՀՖՖ সন্দীপের আত্মকথা আমি নিজের লেখা আত্মকাহিনী যখন পড়ে দেখি তখন ভাবি, এই কি সন্দীপ ? আমি কি কথা দিয়ে তৈরি ? আমি কি রক্তমাংসের মলাটে মোড়া একখানা বই ? পৃথিবী চাদের মতো মরা জিনিস নয়, সে নিশ্বাস ফেলছে, তার সমস্ত নদীসমূত্র থেকে বাষ্প উঠছে,—সেই বাম্পে সে ঘেরা, তার চতুর্দিকে ধুলো উড়ছে, সেই ধুলোর ওড়নায় সে ঢাকা । বাইরে থেকে যে-দর্শক এই পৃথিবীকে দেখবে, এই বাষ্প আর ধুলোর উপর থেকে প্রতিফলিত আলোই কেবল সে দেখতে পাবে। সে কি এর দেশ-মহাদেশের স্পষ্ট সন্ধান পাবে ? এই পৃথিবীর মতো ষে-মানুষ সজীব তার অন্তর থেকে কেবলই আইডিয়ার নিশ্বাস উঠছে, এই জন্তে বাম্পে সে অস্পষ্ট ; যেখানে তার ভিতরের জলস্থল, যেখানে সে বিচিত্র, সেখানে তাকে দেখা যায় না,—মনে হয় সে যেন আলোছায়ার একটা মগুল । আমার বোধ হচ্ছে যেন সজীব গ্রহের মতো আমি আমার সেই আইডিয়ার মগুলটাকেই আঁকিছি । কিন্তু আমি ষা চাই, যা ভাবি, যা সিদ্ধান্ত করছি আমি যে আগাগোড়া কেবল তাইই, তা তো নয়,—মামি যা ভালোবাসি নে, যা ইচ্ছে করি নে আমি যে তাও । আমার জন্মাবার আগেই যে আমার স্মৃষ্টি হয়ে গেছে—আমি তো নিজেকে বেছে নিতে পারি নি, হাতে য। পেয়েছি তাকে নিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে । এ-কথা আমি বেশ জানি, যে বড়ো সে নিষ্ঠর। সর্বসাধারণের জন্তে গুায়, আর অসাধারণের জন্তে অন্যায়। মাটির তলাটা আগাগোড়া সমান, আগ্নেয় পর্বত তাকে আগুনের শিঙের ভয়ংকর গুতো মেরে তৰে উচু হয়ে ওঠে। সে চারদিকের প্রতি ন্যায়বিচার করে না, তার বিচার নিজের প্রতিই। সফল অল্পায়পরতা এবং অকৃত্রিম নিষ্ঠুরতার জোরেই মানুষ বল, জাত বল এ-পর্যন্ত লক্ষপতি মহীপতি হয়ে উঠছে। ১-কে দিব্যি চোখ বুজে গিলে খেয়ে তবেই ২ দুই হয়ে উঠতে পারে—নইলে ১-এর সমতল লাইন একটানা হয়ে চলত । 劃 আমি তাই অস্তায়ের তপস্তাকেই প্রচার করি। আমি সকলকে বলি, অক্সায়ই cभाँकि, अछांग्रहे रुझिलिथ1 ; cन यथनहे भ५ मा क८व्र, उथनझे इोझे झटब्र बांग्न । यथनझे কোনো জাত বা মানুষ অস্তায় করতে অক্ষম হয়, তখনই পৃথিবীর ভাঙা কুলোয় তার গতি । কিন্তু তবু এ আমার আইডিয়া, এ পুরোপুরি জামি নয়। যতই অন্যায়ের বড়াই