পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে ఇసి) মউচাক থেকে বিদায় হবার গুঞ্জন-গান করে নেওয়া যাক। হে আধুনিক বাংলার কবি, খোলো তোমার দ্বার, তোমার বাণী লুঠ করে নিই,—চুরি তোমারই— তুমি আমারই গানকে তোমার গান করেছ—না-হয় নাম তোমার হল কিন্তু গান यांघांद्र । এই বলে তার বেস্থর-ঘেঁষা মোট ভাঙা গলায় ভৈরবীতে গান ধরলে,— মধুখতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে । যাওয়া-আসার কাল্পাহালি হাওয়ায় সেখী বেড়ায় ভেসে । যায় যে জনা সেই স্বধু যায় ফুল ফোটা তো ফুরোয় না হায়, ঝরবে যে ফুল সেই কেবলি ঝরে পড়ে বেলাশেষে । যখন আমি ছিলেম কাছে, তখন কত দিয়েছি গান; এখন আমার দূরে-যাওয়া, এরে কি গো নাই কোনো দান ? পুষ্পবনের ছায়ায় ঢেকে এই অাশা তাই গেলেম রেখে আগুন-ভরা ফাগুনকে তোর কাদায় যেন আষাঢ় এসে । সাহসের অস্ত নেই—সে সাহসের কোনো আবরণও নেই—একেবারে আগুনের মতো নগ্ন । তাকে বাধা দেওয়ার সময় পাওয়া যায় না,—তাকে নিষেধ করা যেন বজকে নিষেধ করা, বিদ্যুং সে-নিষেধ হেসে উড়িয়ে দেয় । আমি বাইরে বেরিয়ে এলুম। বাড়ির ভিতরের দিকে যখন চলে যাচ্ছি হঠাৎ দেখি অমূল্য কোথা থেকে এসে আমার সামনে দাড়াল। বললে, রানীদিদি তুমি কিছু ভেবো না। আমি চললুম, কিছুতেই নিষ্ফল হয়ে ফিরব না। আমি তার নিষ্ঠাপূর্ণ তরুণ মুখের দিকে চেয়ে বললুম, অমূল্য, নিজের জন্ত ভাবব না, যেন তোমাদের জন্তে ভাবতে পারি। অমূল্য চলে যাচ্ছিল, আমি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলুম, অমূল্য তোমার মা আছেন ? আছেন । বোন ? নেই, আমি মায়ের একমাত্র ছেলে । বাবা আমার অল্পবয়সে মারা গেছেন। যাও তুমি, তোমার মায়ের কাছে ফিরে যাও অমূল্য। দিদি, আমি যে এখানে আমার মাকেও দেখছি আমার বোনকেও দেখছি। আমি বললুম, অমূল্য, আজ রাত্রে যাবার আগে তুমি এখান থেকে খেয়ে যেয়ো। সে বললে, সময় হবে না, দিদিরানী, তোমার প্রসাদ আমার সঙ্গে দিয়ে আমি निःश्च क्षांश्व ।