সাহিত্য og (t অশোকের সেই মহাবাণীও কত শত বৎসর মানবহৃদয়কে বোবার মতো কেবল ইশারায় আহবান করিয়াছে। পথ দিয়া রাজপুত গেল, পাঠান গেল, মোগল গেল, বর্গির তরবারি বিদ্যুতের মতো ক্ষিপ্রবেগে দিগৃদিগন্তে প্রলয়ের কশাঘাত করিয়া গেল— কেহ তাহার ইশারায় সাড়া দিল না। সমুদ্রপারের ষে-ফুঞ্জৰীপের কথা অশোক কখনো কল্পনাও করেন নাই—তাহার শিল্পীরা পাষাণফলকে যখন র্তাহার অনুশাসন উৎকীর্ণ করিতেছিল, তখন যে-দ্বীপের অরণ্যচারী "রুয়িদ”গণ আপনাদের পূজার আবেগ ভাষাহীন প্রস্তরগুপে স্তম্ভিত করিয়া তুলিতেছিল, বহুসহস্ৰ বৎসর পরে সেই দ্বীপ হইতে একটি বিদেশী আসিয়া কালাস্তরের সেই মূক ইঙ্গিতপাশ হইতে তাহার ভাষাকে উদ্ধার করিয়া লইলেন । রাজচক্রবর্তী অশোকের ইচ্ছা এত শতাব্দী পরে একটি বিদেশীর সাহায্যে সার্থকতা লাভ করিল। সে-ইচ্ছা আর কিছুই নহে, তিনি যত বড়ো সম্রাটই হউন, তিনি কী চান কী না চান, তাহার কাছে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ, তাহা পথের পথিককেও জানাইতে হইবে । র্তাহার মনের ভাব এত যুগ ধরিয়া সকল মাহুষের মনের অপ্রিয় চাহিয়া পথপ্রাস্তে দাড়াইয়া আছে । রাজচক্রবর্তীর সেই একাগ্র আকাজক্ষার দিকে পথের লোক কেহ বা চাহিতেছে, কেহ বা না চাহিয়া চলিয়া যাইতেছে । তাই বলিয়া অশোকের অনুশাসনগুলিকে আমি যে সাহিত্য বলিতেছি, তাহী নহে। উহাতে এইটুকু প্রমাণ হইতেছে, মানবহৃদয়ের একটা প্রধান আ কাজক্ষা কী । আমরা যে মূতি গড়িতেছি, ছবি আঁকিতেছি, কবিতা লিখিতেছি, পাথরের মন্দির নির্মাণ করিতেছি, দেশে-বিদেশে চিরকাল ধরিয়া অবিশ্রাম এই যে একটা চেষ্টা চলিতেছে, ইহা আর কিছুই নয়, মানুষের হৃদয় মানুষের হৃদয়ের মধ্যে অমরতা প্রার্থনা করিতেছে । যাহা চিরকালীন মানুষের হৃদয়ে অমর হইতে চেষ্টা করে, সাধারণত তাহা আমাদের ক্ষণকালীন প্রয়োজন ও চেষ্টা হইতে নানাপ্রকারের পার্থক্য অবলম্বন করে । আমরা সাংবৎসরিক প্রয়োজনের জন্যই ধান-যব-গম প্রভৃতি ওষধির বীজ বপন করিয়া থাকি, কিন্তু অরণ্যের প্রতিষ্ঠা করিতে চাই যদি, তবে বনস্পতির বীজ সংগ্ৰহ कब्रिटङ श्ख्न । সাহিত্যে সেই চিরস্থায়িত্বের চেষ্টাই মানুষের প্রিয় চেষ্টা । সেইজন্ত দেশহিতৈষী সমালোচকেরা যতই উত্তেজনা করেন যে, সারবান সাহিত্যের অভাব হইতেছে, কেবল নাটক-নভেল-কাব্যে দেশ ছাইয়া যাইতেছে, তবু লেখকদের ছশ হয় না । কারণ, সারবান সাহিত্যে উপস্থিত প্রয়োজন মিটে, কিন্তু অপ্রয়োজনীয়ু_সাহিত্যে স্থায়িত্বের 88حبےحb
