পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8 o (t প্রেরণায় সমস্ত বাধা ও অস্পষ্টতার মধ্য হইতে আপনিই একটি মানসরূপ—যাহাকে *ধরি ধরি মনে করি ধরতে গেলে আর মেলে না”—কখনো অল্পমাত্রায়, কখনো অধিকমাত্রায়, প্রকাশ হইতে থাকে। যে গৃঢ়দর্শী ভাবুক, কবির কাব্যের ভিতর হইতে এই সমগ্ররূপটিকে দেখিতে পান, তিনিই যথার্থ সাহিত্যবিচারক। আমার এ-সকল কথা বলিবার তাৎপর্য এই যে, আমাদের ভাবের স্বষ্টি একটা খামখেয়ালি ব্যাপার নহে, ইহা বস্তুস্বাক্টর মতোই একটা অমোঘ নিয়মের অধীন। প্রকাশের যে-একটা আবেগ আমরা বাহিরের জগতে সমস্ত অণুপরমাণুর ভিতরেই দেখিতেছি—সেই একই আবেগ আমাদের মনোবৃত্তির মধ্যে প্রবলবেগে কাজ করিতেছে। অতএব ষে-চক্ষে আমরা পর্বতকানন-নদনদী-মরুসমূদ্রকে দেখি, সাহিত্যকেও সেই চক্ষেই দেখিতে হইবে—ইহাও আমার-তোমার নহে, ইহা নিখিল স্বাক্টরই একটা ভাগ । তেমন করিয়া দেখিলে সাহিত্যের কেবল ভালোমন্দ বিচার করিয়াই ক্ষান্ত থাকা যায় না। সেই সঙ্গে তাহার একটা বিকাশের প্রণালী, তাহার একটা বৃহৎ কার্যকারণসম্বন্ধ দেখিবার জন্ত আগ্রহ জন্মে। আমার কথাটা একটি দৃষ্টান্ত দিয়া স্পষ্ট করিবার চেষ্টা করিব। “গ্রাম সাহিত্য” নামক প্রবন্ধে আমি বলিয়াছি, দেশের সাধারণ লোকের মধ্যে প্রথমে কতকগুলি ভাব টুকরা টুকরা কাব্য হইয়া চারিদিকে কাক বাধিয়া বেড়ায়। তার পরে একজন কবি সেই টুকরা কাব্যগুলিকে একটা বড়ো কাব্যের স্বত্রে এক করিয়া একটা বড়ো পিও করিয়া তোলেন। হরপার্বতীর কত কথা যাহা কোনো পুরাণে নাই, রামসীতার কত কাহিনী যাহা মূলরামায়ণে পাওয়া যায় না, গ্রামের গায়ক-কথকদের মুখে মুখে পল্লীর আঙিনায় ভাঙা ছন্ম ও গ্রাম্যভাষার বাহনে কতকাল ধরিয়া ফিরিয়া বেড়াইয়াছে। এমন সময় কোনো রাজসভার কবি যখন, কুটিরের প্রাঙ্গণে নহে, কোনো বৃহৎ বিশিষ্টসভায় গান গাহিবার জন্ত আহত হইয়াছেন, তখন সেই গ্রাম্যকথাগুলিকে আত্মসাৎ করিয়া লইয়া মার্জিত ছন্দে গম্ভীর ভাষায় বড়ো করিয়া দাড় করাইয়া দিয়াছেন । পুরাতনকে নূতন করিয়া বিচ্ছিন্নকে এক করিয়া দেখাইলেই সমস্ত দেশ আপনার হৃদয়কে যেন স্পষ্ট ও প্রশস্ত করিয়া দেখিয়া আনন্দলাভ করে। ইহাতে সে আপনার জীবনের পথে আরও একটা পর্ব যেন অগ্রসর হইয়া যায়। মুকুন্দরামের চওঁী, ঘনরামের ধর্মমঙ্গল, কেতকাদাস প্রভৃতির মনসার ভাসান, ভারতচজের অন্নদামঙ্গল এইরূপ শ্রেণীর কাব্য —তাহা বাংলার ছোটো ছোটো

  • 'cणांकनांश्डिा’, ब्रवॆौटा-ब्रध्नांवली, बई थ७