পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8b"》 बांग्र-निzजब्र ग८त्र निरखब्र न्डन *ब्रिध्रब अठिनप्न ५कछैो न्ङन चानन *ांeब्रा बाब्र, এবং সেই উৎসাহে লেখা এগোতে থাকে। সেই নূতন আনন্দের আবেগে লেখা অনেক সময় জীবন্ত ও সরুল হয়। কিন্তু তার একটা অন্ধবিধাও আছে। কাচ পরিচয়ে পাকা কথা বলা যায় না। তেমন চেপে ধরলে ক্রমে কথার একটু-আধটু পরিবর্তন করতে হয়। চিঠিতে আস্তে আস্তে সেই পরিবর্তন করবার স্থবিধা আছে। প্রতিবাদীর মুখের সামনে মতিস্থির থাকে না এবং অত্যন্ত জিদ বেড়ে যায়। অতএব মুখোমুখি না করে কলমে কলমেই ভালো । 8 তুমি লিখছ যে প্রাচীন সাহিত্যের মধ্যে তত্ত্বের প্রাদুর্ভাব ছিল না। তখন সাহিত্য অখণ্ডভাবে দেখা দিত, তাকে দ্বিধা বিভক্ত করে তার মধ্যে থেকে তত্ত্ব প্রকাশ হয়ে পড়ত না । সেই দৃষ্টান্ত দেখিয়ে তুমি বলতে চাও যে, সাহিত্যের সঙ্গে জীবনের মূলতত্ত্বের কোনো অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ নেই, ওটা কেবল আকস্মিক সম্বন্ধ । এর থেকে বেশ দেখা যাচ্ছে তোমাতে আমাতে কেবল ভাষা নিয়ে তর্ক চলছে । আমি যাকে মূলতত্ত্ব বলছি তুমি সেটা ঠিক গ্রহণ কর নি—এবং অবশেষে সেজন্ত আমাকেই হয়তো ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। যদিও মূলতত্ব শব্দটাকে বারংবার ব্যাখ্যা করতে আমি ক্রটি করি নি । এবারকার চিঠিতে ওই কথাটা পরিষ্কার করা যাক । প্রাচীন কালের লোকেরা প্রকৃতিকে এবং সংসারকে যে-রকমভাবে দেখত, আমরা ঠিক সেভাবে দেখি নে। বিজ্ঞান এসে সমস্ত জগৎসংসারের মধ্যে এমন একটা ত্ৰাবক পদার্থ ঢেলে দিয়েছে, যাতে করে সবটা ছিড়ে গিয়ে তার ক্ষীর এবং নীর, ছানা এবং মাখন স্বতন্ত্র হয়ে গেছে। স্বতরাং বিশ্ব সম্বন্ধে মামুষের মনের ভাব ষে অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে তার আর সন্দেহ নেই, বৈদিক কালের ঋষি যেভাবে উবাকে দেখতেন এবং স্তব করতেন আমাদের কালে উষা সম্বন্ধে সেভাব সম্পূর্ণ नर्छद नम्र ! প্রাচীনকাল এবং বর্তমানকালে প্রধান প্রভেদ হচ্ছে এই যে, প্রাচীনকালে সর্বসাধারণের মধ্যে মতের এবং ভাবের একটা নিবিড় ঐক্য ছিল—গোলাপের কুঁড়ির মধ্যে তার সমস্ত পাপড়িগুলি যেমন আঁট বেঁধে একটিমাত্র স্বচ্যগ্র বিন্দুতে আপনাকে উন্মুখ করে রেখে দেয় তেমনি। তখন জীবনের সমস্ত বিশ্বাস টুকরো টুকরো হয়ে ধায় নি । তখনকার অখণ্ডজীবনের মধ্যে দিয়ে সাহিত্য সূর্বকিরণের মতো শুভ্র নিরঞ্জন ج وخمسمb