পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8ఫిలి সাহিত্যসম্মিলন সকলেই জানেন, গত বৎসর চৈত্রমাসে বরিশাল সাহিত্যসম্মিলনসভা আহবান করিয়াছিল । সেই আহবানের মধ্যে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশের হৃদয়বেদন ছিল । সেজাহানকে আমরা উপেক্ষা করিতে পারি নাই । তার পর হঠাৎ অকালে ঝড় উঠিয়া সেই সভাকে বিক্ষিপ্ত করিয়া দিয়াছিল তাহাও সকলে জানেন । সংসারে শুভকর্ম সকল সময়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় না। বিস্নই অনেক সময়ে শুভকর্মের কর্মকে রোধ করিয়া শুভকে উজ্জলতর করিয়া তোলে। ফলের বীজ যেখানে পড়ে সেইখানেই অঙ্কুরিত হইতে যদি না পায়, ঝড়ে যদি তাহাকে অন্তর উড়াইয়া লইয়া যায়, তবু সে ব্যর্থ হয় না, উপযুক্ত হযোগে ভালোই হইয়া থাকে। কিন্তু কলিকাতা বড়োই কঠিন স্থান। এ তো বরিশাল নয়। এ ষে রাজবাড়ির শানবাধানো আঙিনা। এখানে কেবল কাজ, কৌতুক ও কৌতুহল, আনাগোনা এবং উত্তেজনা । এখানে হৃদয়ের বীজ অঙ্কুরিত হইবে কোথায় ? জিজ্ঞাসা করি, এখানে হৃদয় দিয়া মিলনসভাকে আহবান করিতেছে কে ? এ-সভার কোনো প্রয়োজন কি কেহ বেদনার সহিত নিজের অন্তরের মধ্যে অনুভব করিয়াছে ? এখানে ইহা নানা আয়োজনের মধ্যে একটিমাত্র, সর্বদাই নানাপ্রকারে জনতা-মহারাজের মন ভুলাইয়া রাখিবার এক শত অনাৰশুক ব্যাপারের মধ্যে এটি এক শত এক । জনতা-মহারাজকে আমিও যথেষ্ট সম্মান করি, কিন্তু কিঞ্চিং দূর হইতে করিতে ইচ্ছা করি। র্তাহার সেবক-পরিচারকের অভাব নাই। আমিও মাঝে মাঝে তাহার দ্বারে হাজিরা দিয়াছি, হাততালির বেতনও আদায় করিয়া লইয়াছি, কিন্তু সত্য কথাই বলিতেছি, সে-বেতনে চিরদিন পেট ভরে না ; এখন ছুটি লইবার সময় হইয়াছে। বর্তমান সভার কর্তৃপক্ষদের কাছে কাতরকণ্ঠে ছুটির দরখাস্ত করিয়াছিলাম। তাহার। আমার পূর্বেকার নোকরি স্মরণ করিয়া দরখাস্ত নামঞ্জুর করিয়াছেন। তাহারা কেহ বা আমার প্রিয় আত্মীয়, কেহ বা আমার মান্ত ব্যক্তি ; তাহাদের অনুরোধের উত্তরে "না" বলিবার অভ্যাস এখানো পাকে নাই বলিয়া যেখানেই তাহারা আমাকে लैंॉज़ कब्राहेब्र निकलन, cनझेथांप्नझे यांनिम्नां नैॉज़ाईलांध । কিন্তু সকলেরই তো আমি প্রিয় ব্যক্তি এবং আত্মীয় ব্যক্তি নহি ; অতএব এখানে দাড়াইবার আমার অধিকার কী আছে, পক্ষপাতহীন বিচারকদের কাছে তাহারও