পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV इतदोन्-तष्ठन्दर्दी পৃথ্বীর গভীর মৌন দূর শৈলে ফেলে নীল ছায়া, মধ্যাহ্নমরীচিকায় দিগন্তে খোজে। সে স্বপ্নপ্রকায়া । যে মৌন নিজেদের চায় সমুদ্রের নীলিমায়, অন্তহীন সেই মৌন উচ্ছসিল নীলগুচ্ছ ফুলে, দুৰ্গম রহস্য তার উঠিল সহজ ছন্দে দুলে । আসন্ন মিলনাশ্বাসে বধুর কম্পিত তনুখানি নীলাম্বর-অঞ্চলের গুণ্ঠনে সঞ্চিত করে বাণী । মর্মের নির্বক কথা - নীলমণিমঞ্জরির পুঞ্জে পুঞ্জে প্রকাশে আকৃতি । অজানা পান্থের মতো ডাক দিলে অতিথির ডাকে, অপরাপ পুষ্পেপাচ্ছিাসে হে লতা, চিনালে আপনাকে । বেল জুই শেফালিরে কত ফায়নের, কত শ্রাবণের, আশ্বিনের ভাষা তারা তো এনেছে। চিত্তে, রঙিন করেছে। ভালোবাসা ! চাপার কাঞ্চন-আভা সে-যে কার কণ্ঠস্বরে সাধা, নাগকেশরের গন্ধ সে-যে কোন বেণীবন্ধে বাধা । বাদলের চামেলি-যে কালো আঁখিজলে ভিজে, করবীর রাঙা রঙ কঙ্কণঝংকার সুরে মাখা, কদম্বকেশরগুলি নিদ্রাহীন বেদনায় আঁকা । স্বচ্ছ নীলাম্বারসম নির্মল তোমার কাঠফবনি । যেন ইতিহাসজালে বাধা নহ দেশে কালে, যেন তুমি দৈববাণী বিচিত্র বিশ্বের মাঝখানে, পরিচয়হীন তব আবির্ভাব, কেন এ কে জানে । ‘কেন এ কে জানো- এই মন্ত্ৰ আজি মোর মনে জাগে ; তাই তো ছন্দের মালা গাথি অকারণ অনুরাগে । বসন্তের নানা ফুলে গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলে, আশ্ৰবনে ছায়া বঁকাপে মৌমাছির গুজরণাগানে ; মেলে। অপরােপ ডানা প্ৰজাপতি, কেন এ কে জানে ।