পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ. Ν. রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দেখি যে পথিকের মতোই তাকে, থাকা ও না-থাকার সীমায় থাকে । ফুলের মতো ও যে, পাতার মতো, যখন যাবে, রেখে যাবে না। ক্ষত । নাইকো রেষারেবি পথে ও ঘরে, তাহারা মেশামোশি नश्छ कौ । কীর্তিজালে ঘেরা আমি তো ভাবি, তোমার ঘরে ছিল আমারও দাবি ; হারায়ে ফেলেছি সে ঘূর্ণিবায়ে, অনেক কাজে আর VSNRKs v [শান্তিনিকেতন Oba Y \OOO) হাসির পাথেয় তখন আমার অল্প বয়স । পিতা আমাকে সঙ্গে করে হিমালয়ে চলেছেন ডালহৌসি পাহাড়ে । সকালবেলায় ডাণ্ডি চড়ে বের তুম, অপরাহুে ডাকবাংলায় বিশ্রাম হত । আজও মনে আছে এক জায়গায় পথের ধারে ডাণ্ডিওয়ালারা ডাণ্ডি নামিয়েছিল । সেখানে শ্যাওলায় শ্যামল পাথরগুলোর উপর দিয়ে গুহার ভিতর থেকে ঝরনা নেমে উপত্যকায় কলশব্দে ঝরে পড়ছে। সেই প্রথম-দেখা ঝরনারা রহস্য আমার মনকে প্ৰবল করে টেনেছিল । এ দিকে ডান পাশে পাহাড়ের ঢালু গায়ে স্তরে স্তরে শস্যখেত হলদে ফুলে ছাওয়া, দেখে দেখে তৃপ্তির শেষ হয় না- কেবলই ভাবি এইগুলো ভ্রমণের লক্ষ্য কেন না হবে, কেবল ক্ষণিক উপলক্ষ কেন হয় । সেই ঝরনা কোন নদীর সঙ্গে মিলে কোথায় গেছে জানি নে কিন্তু সেই মুহুর্তকালের প্রথম পরিচয়টুকু কখনো ভুলব না । হিমালয় গিরিপথে চলেছিনু কবে বাল্যকালে মনে পড়ে। ধূর্জটির তাণ্ডবের ডম্বরুর তালে যেন গিরি-পিছে গিরি উঠিছে নামিছে বারে বারে তমোঘন অরণ্যের তল হতে মেঘের মাঝারে ধরার ইঙ্গিত যেথা স্তব্ধ রহে শূন্যে অবলীন, তুষারানিরুদ্ধ বাণী, বর্ণহীন বর্ণনাবিহীন ।