২ জুলাই ১৯২৭
সিঙাপুর বন্দর 8 Ke Sv.Sov08
পরিশেষ
সারাদিন পথপাৰ্থে ; বেলা হয়ে এল অবসান, ঘন হয়ে আসে ছায়া, শ্ৰান্ত সূৰ্যকরিছে সন্ধান দিগন্তে অন্তিম শান্তি । দিবা যথা চলেছে নিভীক চিহ্নহীন সঙ্গহীন অন্ধকার পথের পথিক আপনার কাছ হতে অন্তহীন অজানার পানে অসীমের সংগীতে উদাসী- সেইমতো আত্মদানে আমারে বাহির করো, শূন্যে শূন্যে পূর্ণ হােক সুর, নিয়ে যাক পথে পথে হে অলক্ষ্য, হে মহাসুদূর ।
আহবান
আমার তরে পথের পরে কোথায় তুমি থাক
সে কথা আমি শুধাই বারে বারে । কোথায় জানি আসনখানি সাজিয়ে তুমি রাখ
আমার লাগি নিভৃতে এক ধারে । বাতাস বেয়ে ইশারা পেয়ে গেছি। মিলন-আশে শিশিরধোয়া আলোতে-ছোয়া শিউলিছাওয়া ঘাসে, খুঁজেছি দিশা বিলোল জল-কাকলিকলভাসে
অধীরধারা নদীর পারে পারে ।
আকাশকোণে মেঘের রঙে মায়ার যেথা মেলা, তটের তলে স্বচ্ছ জলে ছায়ার যেথা খেলা, অশথশাখে কপোত ডাকে, সেথায় সারাবেলা
তোমার বঁাশি শুনেছি বারে বারে ।
কেমনে বুঝি আমারে খুঁজি কোথায় তুমি ডাক,
বাজিয়া উঠে ভীষণ তব ভেরি । শরম লাগে, মন না জাগে, ছুটিয়া চলি নাকো,
দ্বিধার ভরে দুয়ারে করি দেরি । ডেকেছ তুমি মানুষ যেথা পীড়িত অপমানে, আলোক যেথা নিবিয়া আসে শঙ্কাতুর প্রাণে, আমারে চাহি ডিঙ্কা তব বেজেছে সেইখানে
বন্দী যেথা বঁকাদিছে কারাগারে । পাষাণ ভিত টলিছে যেথা ক্ষিতির বুক ফাটি ধুলায়-চাপা অনলশিখা কঁপায়ে তোলে মাটি, নিমেষ আসি বহুযুগের বঁাধন ফেলে কাটি,
সেথায় ভেরি বাজাও বারে বারে ।
ՏՎ)Գ
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
