পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিন্যাঙ Sbr. SICIRS Sð Sa রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী সেই ধবনিটি কানন ব্যেপে পারবে পািনবে জলের কলরবে। ওপার-পানে মিলিয়ে যেত সুদুর নীলাকাশে । আজি এই পরিবাসে সেই ধ্বনিটি ক্ষুব্ধ পথের পাশে গোপন শাখার ফুলগুলিরে দিল আপনি বাণী । বনচ্ছায়ার শীতল শান্তিখানি প্ৰভাত-আলোর সঙ্গে করে নিবিড় কানাকানি ওই বাণীটির বিমল সুরে গভীর রমণীয়-- “তুমি আমার প্ৰিয় ।” এরই পাশেই নিত্য হানাহানি ; প্রতারণার ছুরি সরল বিশ্বাস ; কুটিল হাসি ঘটিয়ে তোলে জটিল সর্বনাশ । নিরাশ দুঃখে চেয়ে দেখি পৃথ্বীব্যাপী মানববিভীষিকা৷ লোভের জালে বিশ্বজগৎ ঘোরে, ভেবে না পাই কে বাচাবে আপন-হানা অন্ধ মানুষেরে । হেনকালে স্নিগ্ধ ছায়ায় হঠাৎ কোকিল ডাকে ফুল্ল অশোকশাখে ; পরশ করে। প্ৰাণে যে শান্তিটি সাব-প্ৰথমে, যে শান্তিটি সবার অবসানে, যে শাস্তিতে জানায় আমায় অসীম কালের অনির্বাচনীয় “তুমি আমার প্ৰিয় ।” কণিটকারি শিলঙে এক গিরির খোপে পাথর আছে খসে তারই উপর লুকিয়ে বসে রোজ সকালে গেঁথেছিলেম ভোরের সুরে গানের মালা । প্ৰথম সূর্যোদয়ের সঙ্গে ছিল আমার মুখোমুখির পালা । ডানদিকেতে অফলা এক পিচের শাখা ভরে ফুল ফোটে আর ফুল পড়ে যায় ঝরে । কালো ডানায় হলদে আভাস, কোন পাখি সেই অকারণের গানে ক্লান্তি নাহি জানে