পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ সেই উচ্ছসিত সবুজ কোলাহলের মধ্যে কোন চরম দিনের অদৃশ্য দূত দিল ওর দ্বারে নাড়া, কানে কানে গোল খবর দিয়েএকদিন নামে শেষ আলো, নেচে যায় কচি পাতার শেষ ছেলেখেলার আসরে । দেরি করলে না । তার হাসিমুখের বেদনা ফুটে উঠল ভারে ভারে ফিকে-বেগনি ফুলে । পাতা গেল না দেখাযতই করে ততই ফোটে হাতে রাখল না কিছুই । তার সব দান এক বসন্তে দিল উজাড় করে । তার পরে বিদায় নিল এই ধূসর ধূলির উদাসীনতার কাছে । Gł Wout YWOSOS কোমল গান্ধার নাম রেখেছি কোমলগান্ধার, SAN AN যদি তার কানো যেত অবাক হয়ে থাকত বসে, বলত হেসে ‘মানে কী’ । মানে কিছুই যায় না বোঝা সেই মানেটাই খাটি । কাজ আছে কর্ম আছে সংসারে, ভালো মন্দ অনেক রকম আছেতাই নিয়ে তার মোটামুটি সবার সঙ্গে চেনাশোনা । পাশের থেকে আমি দেখি বসে বসে কেমন একটি সুর দিয়েছে চার দিকে । আপনাকে ও আপনি জানে না । যেখানে ওর অন্তর্যামীর আসন পাতা রয়েছে কোন ব্যথা-ধূপের পাত্ৰখানি । সেখান থেকে ধোয়ার আভাস চোখের উপর পড়ে, চাদের উপর মেঘের মতো হাসিকে দেয় একটুখানি ঢেকে । গলার সুরে কী করুণা লাগে ঝাপসা হয়ে । ওর জীবনের তানপুরা যে ওই সুরেতেই বাধা, সেই কথাটি ও জানে না। S 6ቅw©