পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳԵր রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী আমি পারি জল তুলে আনতে নদী থেকেপারি বন থেকে কাঠ আনতে কেটে, আর, তা ছাড়া কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে একটা ভদ্রগোছের ভালুকও কি মেলে না ! দেখলেম দলের মধ্যে একজন যুবক শর্ট-পরা, গায়ে রেশমের বিলিতি জামা, কমলার পাশে পা ছড়িয়ে হাভানা চুরোট খাচ্ছে। আর, কমলা অন্যমনে টুকরো টুকরো করছে। একটা শ্বেতজবার পাপড়ি, পাশে পড়ে আছে বিলিতি মাসিক পত্ৰ । মুহুর্তে বুঝলেম এই সঁওতাল পরগনার নির্জন কোণে আমি অসহ্য অতিরিক্ত, ধরবে না কোথাও । তখনি চলে যেতেম, কিন্তু বাকি আছে একটি কাজ । পাঠিয়ে দিয়ে তবে ছুটি । সমস্ত দিন বন্দুক ঘাড়ে শিকারে ফিরি বনে জঙ্গলে, সন্ধ্যার আগে ফিরে এসে টবে দিই। জল আর দেখি কুঁড়ি এগোল কত দূর । সময় হয়েছে আজ । যে আনে আমার রান্নার কাঠ ডেকেছি সেই সাওতাল মেয়েটিকে । তার হাত দিয়ে পাঠাব arersvos 9Gs র্তাবুর মধ্যে বসে তখন পড়ছি ডিটেকটিভ গল্প । বাইরে থেকে মিষ্টি সুরে আওয়াজ এল, “বাবু, ডেকেছিস কেনে ৷” বেরিয়ে এসে দেখি ক্যামেলিয়া সঁওতাল মেয়ের কানে, কালো গালের উপর আলো করেছে । সে আবার জিগেস করলে, “ডেকেছিস কেনে ৷” আমি বললেম, “এইজন্যেই।” তার পরে ফিরে এলেম কলকাতায় । SA ŠERe Svoeoe