পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়াে ক্ষমা, করিয়াে ক্ষমা, গুমরি উঠে বাণী, Sur ෂiඳිෂ්l Sමළුඤ মহুয়া কঠিনতর যবে সে পণ দারুণ উপবাসে এমনকালে হঠাৎ কবে আসে উদার অকৃপণ আষাঢ় মাসে সজল শুভক্ষণ ; পূর্ব গিরি-আড়াল হতে বাড়ায় তার পাণি, অশ্রুবারিবন্যা নামে ধারণী যায় ভাসি। ফিরালে মোরে মুখ ! এ শুধু মোরে ভাগ্য করে ক্ষণিক কৌতুক । তোমার প্ৰেমে আমার অধিকার অতীত যুগ হতে সে জেনো লিখন বিধাতার । অচল গিরিশিখর-’পরে সাগর করে দাবি, ঝরনা পড়ে নাবি ; সুদুর দিকরেখার পানে চায়, অকুল অজানায় শঙ্কাভরে তরল স্বরে কহে, নহে গো, নহেনহে ; এড়ায়ে যাবে বলি কত-না আঁকাবাকার পথে চলে সে ছলছলি ; বিপুলতর হয়। সে ধারা, গভীরতর সুরে, যতই আসে দুরে ; উদারহাসি সাগর সহে অবুঝ অবহেলা একদা শেষে পলাতকার খেলা বক্ষে তার মিলায় কবে, মিলনে হয়। সারাপূর্ণ হয় নিবেদনের ধারা । নিৰ্ভয় আমরা দুজনা স্বৰ্গ-খেলনা গড়িব না। ধারণীতে, মুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে । পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়ে বাসররাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে ; ; ভাগ্যের পায়ে দুর্বলপ্ৰাণে ভিক্ষা না যেন যাচি । কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় তুমি আছ, আমি আছি । Qa