চিরকুমার-সভা 8 SS বেটা কেচে এমনি পরিষ্কার করে দিয়েছে একটা অক্ষরও দেখতে পাচ্ছি নে। ও বেটা বোধ হয় স্ত্রীস্বাধীনতার ঘোরতর বিরোধী, তাই তোমার ঐ পত্রটা একেবারে আগাগোড়া সংশোধন করে দিয়েছে। শৈলবালা । এই বুঝি ! অক্ষয় । চারটিতে মিলে স্মরণশক্তি জুড়ে বসে আছ, আর কিছু কি মনে রাখতে দিলে ?-- ዓሻሽማ H সকলই ভুলেছে ভোলা মন, ভোলে নি ভোলে নি শুধু ওই চন্দ্ৰানন । [শৈল ও রসিকের প্রস্থান পুরবালার প্রবেশ অক্ষয় । স্বামীই স্ত্রীর একমাত্র তীর্থ। মান কি না । পুরবালা । আমি কি পণ্ডিতমশায়ের কাছে শাস্ত্রের বিধান নিতে এসেছি। আমি মাের সঙ্গে আজ কাশী চলেছি। এই খবরটি দিয়ে গেলুম । অক্ষয় । খবরটি সুখবর নয়- শোনাবামাত্র তোমাকে শাল-দোশালা বকশিশ দিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে R | পুরবালা । ইস, হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে ? না ? সহ্য করতে পারছি না ? অক্ষয় । আমি কেবল উপস্থিত বিচ্ছেদটার কথা ভাবছি নে। এখন তুমি দুদিন না রইলে, আরো কাজন রয়েছেন, একরকম করে এই হতভাগ্যের চলে যাবে । কিন্তু এর পরে কী হবে । দেখো, ধর্মেকর্মে স্বামীকে এগিয়ে যেয়ো না ; স্বৰ্গে তুমি যখন ডবল প্রমোশন পেতে থাকবে। আমি তখন পিছিয়ে থাকিব- তোমাকে বিষ্ণুদূতে রথে চড়িয়ে নিয়ে যাবে, আর আমাকে যমদূত কানে ধরে হটিয়ে দৌড় করাবে। 하fF স্বগে তোমায় নিয়ে যাবে উড়িয়ে, পিছে পিছে আমি চলাব খুঁড়িয়ে, ইচ্ছা হবে টিকির ডগা ধরে বিষ্ণুদূতের মাথাটা দিই ওঁড়িয়ে । পুরবালা । আচ্ছা আচ্ছা, থামো । অক্ষয় । আমি থামব, কেবল তুমিই চলবে ? উনবিংশ শতাব্দীর এই বন্দোবস্ত ? নিতান্তই চললে ? : পুরবালা । চললুম। অক্ষয় । আমাকে কার হাতে সমৰ্পণ করে গেলে । পুরবালা । রসিকদাদার হাতে । অক্ষয় । মেয়েমানুষ, হস্তান্তর করবার আইন কিছুই জান না । সেইজন্যেই তো বিরহাবস্থায় উপযুক্ত হাত নিজেই খুঁজে নিয়ে আত্মসমৰ্পণ করতে হয় । পুরবালা । তোমাকে তো বেশি খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। অক্ষয় । তা হবে না - 하F কার হাতে যে ধরা দেবী প্ৰাণ তাই ভাবতে বেলা অবসান । ডানদিকেতে তাকাই যখন বঁায়ের লাগি কঁদে রে মন ; বঁায়ের লাগি ফিরলে তখন দক্ষিনেতে পড়ে টান ।